ঢাকা, ১৩ জুলাই ২০২৪ (জনতার কণ্ঠ) : কোটা সংস্কার ও কোটা ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে ভিন্নধর্মী এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ছাত্রলীগ।
ছাত্র লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা নিয়ে কী ভাবছেন। তারা কী চাইছেন সেটি জানতে ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন শুরু করছে তারা।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজে আজ এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ছাত্রলীগ সরকারি চাকরিতে ‘কোটা’ ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক উপায় গ্রহণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে।
এই ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইন তারুণ্যের মাঝে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নীতি প্রণয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমতাধর্মী সমাজ প্রতিষ্ঠা, গঠনমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পলিসি অ্যাডভোকেসির অভিজ্ঞতা, সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। শিক্ষার্থীদের সাথে মিথস্ক্রিয়া, আলোচনা, মতামত গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতির একটি গ্রহণযোগ্য সুরাহা, যৌক্তিক সমাধান, জনদুর্ভোগ এড়ানো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ছাত্রলীগ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়।
এই উপলক্ষে আজকে থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই ‘পলিসি এ্যাডভোকেসি’ ও ‘ডোর টু ডোর’ ক্যাম্পেইনে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ ও শুভেচ্ছা জানায়।
এ ছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতির যৌক্তিক ও ইতিবাচক সমাধানের লক্ষ্যে শিক্ষার্থী বন্ধুদের যে কোন মতামত লিখিত আকারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) অথবা officecellbsl@gmail.com (ইমেইল) এ প্রেরণের আহ্বান জানানো হয়।
এই কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবগত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আজ বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্রলীগ।
উল্লেখ্য কোটা সংস্কারের দাবিতে বিগত প্রায় ১৩ দিন যাবৎ রাজপথে বিভিন্ন সময় অবরোধ করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কিন্তু রাজপথে আন্দোলন করলেও তাদের দাবি এবং তার যৌক্তিকতা এখন পর্যন্ত কারো সঙ্গেই কোন আলোচনায় বসেনি আন্দোলনকারীরা। এদিকে অবরোধের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশ জুড়ে জনদুর্ভোগের কারণে এমন কর্মসূচির বদলে গঠনমূলক আলোচনার দিকে শিক্ষার্থীদের আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সরকারের বিভিন্ন গোষ্ঠীগুলো।
এমনকি পূর্ববর্তী কোটা বহালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আইনি লড়াই শেষে অবশেষে এ বিষয়ক ক্ষমতা আবারও নির্বাহী বিভাগকে প্রণয়ন করা হয়েছে।