ডুবোযানটি উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ ডুবোযানের অক্সিজেন প্রায় শেষ হয়ে আসছে। গুরুত্বপূর্ণ এই পর্যায়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন উদ্ধারকারীরা।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, ডুবোযানটিতে অবশিষ্ট রয়েছে আর মাত্র এক ঘণ্টার অক্সিজেন। ফলে কমছে পাঁচ আরোহীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা।
ডুবোযানটি উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে ১২টি জাহাজও। সবশেষ এ দলে যোগ দিতে যায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ম্যাগেলানের একটি অত্যাধুনিক দূরনিয়ন্ত্রিত জলযান (আরওভি)।
মঙ্গল ও বুধবার ডুবোযানটি থেকে দুবার আওয়াজ শোনার কথা জানায় মার্কিন কোস্টগার্ড। দুবারই কানাডার পি-থ্রি বিমান এ শব্দ শনাক্ত করে। পি-থ্রি মডেলের এ ওরিয়ন স্পটার বিমানটি যে কোনো ধরনের বস্তু শনাক্তের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে ইনফ্রারেড, দীর্ঘ পাল্লার ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা ও বিশেষ ইমেজিং রাডার।
গত রবিবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর ডুবোযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় ডুবোযানে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল।
ডুবোযানে থাকা নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।