জনতার কণ্ঠ ডেস্ক : অনেক অ্যাজমা রোগী সহজেই লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে। অনেকই পারে না। অনিয়ন্ত্রিত অ্যাজমার মধ্যে আছে কাশি, বুকে চাপ বোধ করা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। অ্যাজমা রোগীর অবস্থা সহজেই খারাপ হয়ে যায়।
তাই সতর্ক থাকা উচিত। এবার জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন আপনার অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
সপ্তাহে দুইবারের বেশি উপসর্গ দেখা দেওয়া : যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহে দুইবার বা তার কম সময়ে অ্যাজমার উপসর্গ দেখা দিলে বুঝবেন অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে আছে। যদি সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য অ্যাজমার উপসর্গগুলো অনুভব হয়, তবে আপনার অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে নেই। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রাতে কাশি : সবারই রাতে ঘুমানোর সময় শ্বাসনালি একটু সংকুচিত হয়ে যায়। কিন্তু অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের প্রায় সারা দিনই সংকুচিত থাকে, রাতে তা আরো বেশি বাড়ে। যদি রাতে বেশ কাশি হয় বা সকালে উঠেই খুব কাশি হয় এবং এক মাসেই দুইবার হয় তাহলে বুঝতে হবে বর্তমান চিকিৎসা আপনার কাজে আসছে না।
দুইবারের বেশি ওষুধের ব্যবহার : যদি সপ্তাহে দুইবারের বেশি অ্যাজমা অ্যাটাক হয় এবং এর জন্য ওষুধ ব্যবহার করেই শুধু রক্ষা পেতে হয়, তবে বুঝবেন অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে নেই।
ঘন ঘন ওরাল কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার : ওরাল কর্টিকোস্টেরয়েড, যেমন প্রিডনিসোন গুরুতর অ্যাজমা রোগীদের জন্য উদ্ধারকারী ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনার যদি বছরে কয়েকবারের বেশি মৌখিক স্টেরয়েড ব্যবহারের প্রয়োজন দেখেন, তবে এটি অবশ্যই অনিয়ন্ত্রিত অ্যাজমার লক্ষণ।
সূত্র : সি এন এন হেল্থ।