ডেস্ক রিপোর্ট: অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিয়মিত শরীর চর্চা করার পরেও সেভাবে ওজন কমছে না। হয়তো খাওয়া-দাওয়াতেও বেশ কড়া অনুশাসন মেনে চলছেন আপনি। কিন্তু শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরছে না।অবহেলা করলেই বিপদ,হঠাৎ বাড়ছে ওজন আপনার শরীরের একাধিক অসুস্থতা এবং অন্যান্য অনেক আরও কারণে ওজন না কমার এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কী কী কারণে এমন হয়, দেখে নিন এক নজরে।
অনেক সময় নিয়মিত শরীরচর্চা করার পর এবং নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করার পরেও আমাদের ওজন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক্ষেত্রে বুঝতে শরীর বড়সড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। কী কী অসুখের লক্ষণ অস্বাভাবিক মাত্রায় ওজন বেড়ে যাওয়া, দেখে নিন।
আপনি যদি তীব্র মাত্রায় স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে অস্বাভাবিক হারেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। অতএব স্ট্রেস কিংবা অবসাদ, অবহেলা না করা সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। না হলে বাড়বে সমস্যা।
যদি সব নিয়ম মেনে চলার পরেও দেখেন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকছে না তাহলে একবার থাইরয়েড চেক করিয়ে নিন। থাইরয়েডের কারণে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হয়।
আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের ক্ষরণে অসামঞ্জস্য দেখা দিলেও আচমকা ওজন বেড়ে যাতে পারে। তাই দ্রুত ওজন বাড়লে বিষয়টা অবহেলা করবেন না।
ওভারি কিংবা ইউটেরাসে টিউমার হলে ওজন বাড়তে পারে মারাত্মক ভাবে। অতএব কোনোভাবেই আচমকা ওজন বৃদ্ধির লক্ষণ অবহেলা করা উচিত নয়।
কর্টিসল এক প্রকারের হরমোন যা আমাদের শরীরে বেড়ে গেলেও ওজন অনেক বাড়তে পারে।
মেনোপজের আগে এবং পরে শরীরে হরমোনের ক্ষরণে অসামঞ্জস্য দেখা যায়। এই কারণেও আচমকা ওজন বাড়তে পারে আপনার।
পিসিওএস-পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের সমস্যা থাকলেও আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
শুধু স্ট্রেস কিংবা মানসিক অবসাদ নয়, অত্যন্ত উদ্বেগের কারণেও আপনার ওজন হঠাৎ করে বাড়তে পারে।
অনেক সময় বিভিন্ন ওষুধের প্রভাবেও আমাদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হারে বাড়তে পারে।