ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বগুড়ার পালসা গ্রামের বাসিন্দা গুলশানার সঙ্গে কর্ণাটকের বিদার জেলার যুবক দত্ত যাদবের পরিচয় হয়েছিল আট মাস আগে ইনস্টাগ্রামে। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ভারতে কাজ করার পর গুলশানা বাংলাদেশে ফিরে এলেও, যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। সম্প্রতি প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে গুলশানা অবৈধভাবে ত্রিপুরার সীমানায় প্রবেশ করেন।
তবে ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার হরিহরদোলা সীমান্ত গ্রামে প্রবেশের সময়ই বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আদালতে তোলা হলে বিচারক দুজনকেই ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গুলশানার বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইন, পাসপোর্ট আইন এবং ভারতের দণ্ডবিধি সংহিতা (BNS), ২০২৩ অনুযায়ী একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই অভিযোগে দত্ত যাদবের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে।
ত্রিপুরা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গুলশানা আক্তার এর আগে মুম্বাইয়ের একটি বিউটি পার্লারে এবং পরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। সেখানেই তার সঙ্গে দত্ত যাদবের পরিচয় হয়। প্রেমের টানেই গুলশানা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পর যাদব তাকে পুনরায় ভারতে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার পেছনে মানব পাচারের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটিও তদন্ত করে দেখছি। গুলশানাকে কীভাবে সীমান্ত পার হতে সহায়তা করা হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আবেদন জানানো হবে।’