ইসরায়েল গাজার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বোমা হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ৬ জুন, ২০২৪ (জনতার কণ্ঠ) : ইসরায়েল গাজার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিশ্চিতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। ইসরায়েল বুধবার রাতভর মধ্য গাজায় বোমা হামলা চালানোর পর ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা বেশ কিছু হতাহতের খবর জানিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাতেও ইসরায়েল বোমা ও গোলা হামলা জোরদার করেছে। এরআগে ইসরায়েলী বাহিনী বুরেজ ও পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আল বালাহতে সুনির্দিষ্ট অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয়। ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আল-মাগহাজি ক্যাম্পের কাছে ইসরায়েলি হামলায় ১১ জন এবং দেইর আল বালাহর কাছে দু’জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
দাতব্য সংস্থা ‘মেডিসিনস সান্স ফ্রন্টিয়ার্স’ বলেছে, মঙ্গলবার থেকে এ পর্যন্ত মধ্য গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক বোমা হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত এবং তিনশ’র বেশি আহত লোককে আল আকসা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গাজায় সংস্থাটির চিকিৎসা উপদেষ্টা পরিস্থিতি ভয়াবহ উল্লেখ করে বলেছেন, হাসপাতালের মেঝেতে ও সামনে আহত লোকজন পড়ে আছে। প্লাস্টিকের ব্যাগে করে লাশ আনা হচ্ছে।
এদিকে ছয় সপ্তাহের জন্যে যুদ্ধ বন্ধ, ফিলিস্তিনী বন্দীদের ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে জিম্মি মুক্তি এবং ত্রাণ সহায়তা জোরদারের তিন ধাপের যে ইসরায়েলি পরিকল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুলে ধরেছেন তাতে সমর্থন দিচ্ছে জি-৭ ভুক্তসহ কয়েকটি আরব দেশ। যদিও হামাসের দাবি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। হামাসের এ দাবি ইসরায়েল স্পষ্টতই প্রত্যাখ্যান করেছে।
আলোচনার সাথে সম্পর্কিত ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, কাতারের দোহায় বুধবার হামাসের সাথে দেশটির প্রধানমন্ত্রী, মিসরের গোয়েন্দা প্রধান যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন।
তবে বৈরুতে মঙ্গলবার হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, তারা অন্তহীন আলোচনা চায়। তিনি তার গ্রুপের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্ত ছাড়া কোন চুক্তিই মেনে নেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ অভিযান শুরু করে এবং তা অব্যাহত রেখেছে।
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *