চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
প্রথম দিন এসএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে। এসএসসির লিখিত পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশের সব কোচিং সেন্টার ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পরীক্ষার সঠিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য, বিশেষভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। এর মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ জন, রাজশাহী বোর্ডে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯০৪ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮০ জন, এবং যশোর বোর্ডে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা
১. এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে (৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে) অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে হবে।
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে। তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন পূর্বে সংগ্রহ করবে।
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না।
৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসনবিন্যাস করতে হবে।
১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।
১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।