ওমানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু অস্ট্রেলিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ৬ জুন, ২০২৪ (জনতার কণ্ঠ) : মার্কাস স্টয়নিসের অলরাউন্ড নৈপুন্যে সহজ জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের নবম আসর শুরু করলো অস্ট্রেলিয়া। আজ ‘বি’ নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৩৯ রানে হারিয়েছে ওমানকে। ব্যাট হাতে ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৭ রান ও বল হাতে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন স্টয়নিস। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামিবিয়ার কাছে সুপার ওভারে হেরেছিলো ওমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রিজটাউনে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২ রান করা ওপেনার ট্রাভিস হেডকে তৃতীয় ওভারে হারায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ৩৫ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন দু’জনে।
নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে পেসার মেহরান খানের বলে আউট হন ২১ বলে ১৪ রান করেন মার্শ। পরের ডেলিভারিতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে খালি হাতে বিদায় দেন মেহরান। এতে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
এ অবস্থায় ওমানের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ওয়ার্নার ও মার্কাস স্টয়নিস। দ্রুত উইকেটে সেট রানের গতি বাড়িয়েছেন তারা। মেহরানের করা ১৫তম ওভারে ৪টি ছক্কায় ২৬ রান তুলে ২৭ বলে টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টয়নিস।
স্টয়নিসের পর ৪৬ বলে টি-টোয়েন্টিতে ২৭তম অর্ধশতকের দেখা পান ওয়ার্নার। এর মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে অন্তত ৫০এর বেশির রানের ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের রেকর্ড ভেঙ্গেছেন ওয়ার্নার। এই নিয়ে ১১১ ইনিংসে  অন্তত ৫০এর বেশির রানের ইনিংসে খেলেছেন তিনি। ১১০টি ইনিংসে অন্তত ৫০এর বেশির রান করেছেন গেইল।
১৯তম ওভারে ওয়ার্নারকে আউট করেন পেসার কলিমুল্লাহ। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫১ বলে ৫৬ রান করেন ওয়ার্নার। এই ইনিংস খেলার পথে সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে টপকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান ওয়ার্নার। ১০৪ ম্যাচে ওয়ার্নারের রান এখন ৩১৫৫ এবং ১০৩ ম্যাচে ৩১২০ রান করেছেন ফিঞ্চ।
চতুর্থ উইকেটে স্টয়নিসের সাথে ১০২ রান যোগ করেন ওয়ার্নার। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে চতুর্থ উইকেট এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটিতে। তবে বিশ^কাপে অসিদের সর্বোচ্চ।
ওয়ার্নার ফিরলেও, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৪ রানের সংগ্রহ এনে দেন ক্যাচ দিয়ে একবার জীবন পাওয়া স্টয়নিস। শেষ ৮ ওভারে ১০১ রান যোগ করে অসিরা। ২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করেন স্টয়নিস। ওমানের মেহরান ২ উইকেট নেন।
১৬৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে ওমান। এতে ১৩ ওভারের মধ্যে দলীয়  ৫৭ রান যোগ হতেই ৬ উইকেট হারায় তারা। পরের দিকে আয়ান  খান ও মেহরানের ছোট-ছোট ইনিংসের সুবাদে সম্মানজনক সংগ্রহ তুলতে পারে ওমান। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৫ রান তুলে ম্যাচ হারে তারা। আয়ান ৩৬ ও মেহরান ২৭ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার স্টয়নিস ৩টি, স্টার্ক-নাথান এলিস ও এডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট নেন। এ ইনিংস খেলার পথে  টি-টোয়েন্টিতে ৩শ উইকেট পূর্ণ করেন জাম্পা।
টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি ও অন্তত ৩ উইকেট নেওয়া চতুর্থ ও এবং অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় খেলোয়াড়ের নজির গড়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচত হন স্টয়নিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ১৬৪/৫, ২০ ওভার (স্টয়নিস ৬৭*, ওয়ার্নার ৫৬, মেহরান ২/৩৮)।
ওমান : ১২৫/৯, ২০ ওভার (আয়ান ৩৬, মেহরান ২৭, স্টয়নিস ৩/১৯)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৩৯ রানে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *