কদরের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:১৫
শেয়ার
কদরের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ফাইল ছবি
পবিত্র শবেকদর উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেন, ‘মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবেকদর আমাদের মাঝে সমাগত। মহিমান্বিত এই রাতে আমি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দেশবাসীসহ পুরো মুসলিম উম্মাহর জন্য মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বাণীতে বলেন, ‘আসুন, সব ধরনের অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সব স্তরে প্রতিষ্ঠা করি। পবিত্র এই রাতে আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাতে মানবজাতির পথনির্দেশক পবিত্র আল কোরআন পৃথিবীতে নাজিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতের মুক্তির পথ দেখায়।’

তিনি বলেন, মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফিরাত।

পবিত্র এই রজনীতে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশে পালিত হতে যাচ্ছে ২৬তম রোজা। কাল দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর। লাইলাতুল কদর বা শবেকদর অর্থ হচ্ছে সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ রাত। ইসলামী শরিয়ত মতে তা বছরের সবচেয়ে মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ একটি রাত। হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এই রাতে লাওহে মাহফুজ থেকে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা মহিমান্বিত রাতটি নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদতে কাটিয়ে থাকেন। দেশের অধিকাংশ মসজিদে এ রাতে তারাবির নামাজে কোরআন খতম হয়। এরপর সদকা, জাকাতসহ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর দোয়া করে থাকেন ইমাম ও খতিবরা। এই সময়ে রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি ও গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন সবাই।

পবিত্র শবেকদর উদযাপন উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *