জনতার কণ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক :কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক তাঁকে উদ্ধৃত করে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কিছু ভুঁইফোড়, লালকাগজ, সবুজকাগজ পত্রিকা একদম ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করেছে, যার কোনো সামান্যতম ভিত্তি নেই।
কোনো শীর্ষস্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ ধরনের ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচার করেনি। তবে ভুঁইফোড় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যাছাই-বাছাই না করে কিছু শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা তা প্রচার করেছে, প্রবন্ধও ছেপেছে। তারা খবরের সত্যতা ও সূত্র ভালোভাবে যাছাই করেনি। এদেরকে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল, ‘কৃষিমন্ত্রী ভাত খাওয়া কমাতে বলেছেন।’ ‘ভাত খাওয়া কমালে দেশে চালের চাহিদা কমে যাবে।’ কৃষিমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এর আগে এই সংবাদের প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় দেশে করোনাকালেও খাদ্যের সংকট নেই। দেশের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সবার জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্যতম লক্ষ্য হলো সব মানুষের জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। আমরা মানুষকে পুষ্টিজাতীয় খাবার দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খাবারের নিশ্চয়তা দিতে চাই। তরুণ ও আগামী প্রজন্মকে আমরা আরও মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি সব সময়ই বহু অনুষ্ঠানে এ কথা বলে এসেছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ লক্ষ্য আমরা অর্জন করতে চাই। সে জন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এই ভিত্তিহীন ও অসত্য সংবাদ প্রচারিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতির সঙ্গে বাস্তব অগ্রগতির দিকেও নজর দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কী প্রভাব পড়েছে ও কী ফলাফল এসেছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। ফলাফল ভালো না এলে প্রকল্প করে লাভ হবে না।