কিডনি রোগীদের জন্য গরুর গোশতে কতটুকু ঝুঁকি?

কিডনিবান্ধব খাদ্য বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা হচ্ছে সাধারণভাবে যাকে আমরা স্মার্টফুড বলি। স্মার্টফুড হচ্ছে, যে খাদ্যে পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমূল আছে এবং তার সঙ্গে অবশ্যই পুষ্টিকর খাদ্যের উপাদান হিসেবে প্রোটিন ও চর্বি থাকবে। অতিরিক্ত চর্বি বা অতিরিক্ত প্রোটিন থাকলে আমরা সেটাকে হাই প্রোটিন ডাইড বলি। সেটা সবসময় কিডনির জন্য খুব উপকারী নয়।
যাদের কিডনি আছে অর্থাৎ ক্রনিক কিডনিতে যারা ভুগছে তাদের খাদ্য আবার একটু ভিন্ন। তাদের ক্ষেত্রে আমরা যেগুলিতে পটাশিয়াম বেশি আছে. ইউরিক অ্যাসিড বেশি আছে. ফসফেট বেশি আছে ওইসব খাবার পরিহার করতে বলি।
কিডনি রোগীদের যেসব খাবার ঝূঁকিপূর্ণ
লাল মাংস কিডনি রোগীদের জন্য খুব ঝূঁকিপূর্ণ। কোরবানির ঈদে গরুর মাংস খাওয়ার খুব ইচ্ছা থাকে। গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে ফসফেট এবং ইউরিক অ্যাসিড থাকে।
যাদের কিডনি ফেইলর অথবা ক্রনিক কিডনি রোগে ভুগছে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রোটিনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ করে দেই, বিশেষ করে লাল মাংস বারণ করি। তবে তাদের ক্ষেত্রে মুরগির মাংস খেতে বলি। মধ্যবিত্ত পরিবারে যেটা সারাদিনে এক টুকরো মুরগির মাংস অথবা এক টুকরা মাছ খায়, সেটা খেতে বলি।
অথবা প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে দেওয়া যেতে পারে। তবে ডিম কখনো কুসুমসহ, কখনো কুসুম ছাড়া খেতে দেওয়া যেতে পারে। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা নাই তারা প্রতিদিন কুসুম সহ খেতে পারবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *