জনতার কণ্ঠ প্রতিনিধি : দুই দিনের টানা বর্ষণে খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড়ধস। শালবন ও কলাবাগান এলাকায় বসতঘরের পাশে পাহাড়ধস হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বন্যাকবলিত পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
সদরে পাঁচটা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হলো মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গঞ্জপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, গঞ্জপাড়া মাদ্রাসা, গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ও মুসলিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সকালে খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, চেঙ্গী নদী, খাগড়াছড়ি ছড়া ও মধুপুর এলাকার ছড়ার পানি বেড়ে গিয়ে মুসলিমপাড়া, কালাডেবা, বটতলী, গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়াপাড়া, ফুটবিল, এপিবিএন, মিলনপুর, খবংপুড়িয়াসহ কয়েকটি এলাকার বাড়িঘর ডুবে গেছে।
খাগড়াছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা মতিন বলেন, পানিবন্দী মানুষের জন্য রান্না করা খাবার, শুকনা খাবার আর বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১ হাজার ২০০ পরিবারের জন্য বর্তমানে ৫টা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো হবে। এ ছাড়া পানিবন্দী মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।