গোপনে সংগঠিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ!

বিশেষ সংবাদদাতা : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর থেকে এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ তথ্য বলছে ‍দিল্লীর লুটিয়েন্স গার্ডেনে তাকে দেখা গিয়েছে।

শেখ হাসিনার ভারত পলায়নের পর থেকেই এখন পর্যন্ত অনেক নেতাকর্মীই রয়েছেন আত্নগোপনে নয়ত কারগারে। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও রয়েছেন পলাতক। সাম্প্রতিক সময়ে শেখ হাসিনার একের পর এক কল রেকর্ড সাথে হাসান মাহমুদের লাইভে এসে কথা বলা থেকে বুঝা যাচ্ছে,দলটি সাংগঠনিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।

দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতোমধ্যেই যোগাযোগের একটি নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মীরা এখন নিজেদের এলাকায় ফেরার চেষ্টা করছে। গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পর সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম কর্মসূচি দিতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগকে কিন্তু জিরো পয়েন্টের সেই কর্মসূচির পারফরমেন্স ছিল একেবারে জিরো। তবে  সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার এখনই কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন দলটির অনেক শীর্ষ নেতা।

দেশে-বিদেশে ‘আত্মগোপনে’ থাকা নেতাদের মধ্যে যোগাযোগের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

বিবিসি বাংলাকে মি.খালিদ মাহমুদ বলেন, নিয়মিতভাবেই এখন তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে, আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। এমনকি তৃণমূলের  নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী  শেখ হাসিনার একাধিক ফোনালাপও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে  যদিও ফোনালাপগুলোর আসল কি না, বিবিসির পক্ষে  সেটি যাচাই করে সত্যতা এখনি বলতে পারছে না। তবে হাসিনার সঙ্গে যে যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করছেন অনেক নেতারা।

মি.খালিদ আরও বলেন, ‘শুধু নেতাদের সঙ্গেই না, সাধারণ কর্মী ও মানুষের সঙ্গেও আমাদের নেত্রীর যোগাযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি আলাপ-আলোচনা করছেন এবং নির্দেশেনা দিচ্ছেন।’

মূলত দলের ‘দিশেহারা’ নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করে ‘বিপর্যস্ত’ আওয়ামী লীগকে ফের সংগঠিত করার উদ্দেশ্যেই শেখ হাসিনা সরাসরি কথা বলছেন বলে জানাচ্ছেন তার দলের নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *