জনতার কণ্ঠ ডেস্ক: চুলের যত্নে আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। নামীদামি পণ্যও কিনি। অথচ হেঁশেলে উঁকি দিলেই কিন্তু পাওয়া যায় ঘরোয়া সমাধান। কারণ, চা–পানের পর চা–পাতা ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে চুলে।
চুলের কোষগুলো প্রতিদিন বিভিন্ন ভাইরাস–ব্যাকটেরিয়ার শিকার হয়। চায়ে থাকা এপিগ্যালোক্যাটেচিন-গ্যালেট (ইজিসিজি) নামের রাসায়নিক পদার্থ যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে বেশ কার্যকরী। চা–পাতার নির্যাস চুলের যত্নে নানা কাজে আসে। এমনকি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজও করে।
চা–পাতা বা গ্রিন টি পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর ছেঁকে চায়ের পানি একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে স্ক্যাল্প এবং চুলে ভালোমতো লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। ১৫ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। রোজ ব্যবহারে চুল পড়া কমবে, গোড়াও শক্ত হবে।
ব্ল্যাক টিতে যে রং আছে, তা চুলে রং করতেও সাহায্য করে। ব্ল্যাক টির সঙ্গে মেহেদিপাতা বেটে চুলে লাগালে দারুণ রং হবে চুলে। যাঁরা প্রাকৃতিক উপাদানে বিশ্বাসী, তাঁরা এটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
একটি বাটিতে ২ চামচ চা–পাতার পাউডার, ২ চামচ মেহেদি পাউডার, ২ চামচ মধু, ১ চামচ পাতি লেবুর রস এক কার পানিতে দুই মিনিট ভালোভাবে নেড়ে ফুটতে দিন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে মিশ্রণটি মাথার স্ক্যালসহ চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে একটি সিরাম ব্যবহার করতে হবে। এতে চুলের ত্বকে কোনো সংক্রমণ থাকলে তা ধীরে ধীরে দূর হবে এবং চুলও হবে ঝরঝরে।
চা–পাতা সেদ্ধ করে এর লিকার ঘন করে ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু করার পর পাঁচ মিনিট রেখে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর সিরাম ব্যবহারে চুলের কোমলতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
চা–পাতা সেদ্ধ করে ঘন নির্যাস যদি হেনার সঙ্গে মিশিয়ে লাগানো যায়, তবে চুলে প্রাকৃতিক একটি রং হওয়ার পাশাপাশি গোড়াও মজবুত হবে।