জাতীয় ক্রিকেট লিগে ম্যাচের প্রথম বলেই জীবন পাওয়া তানজিদের ১৪১ রান

সিলেট, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ (জনতার কণ্ঠ) : জাতীয় ক্রিকেট লিগের নতুন মৌসুমের প্রথম বল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার পেসার আল আমিন হোসেনের করা বলটি অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছিল। রাজশাহীর ওপেনার তানজিদ হাসান বলটিকে স্লিপ ও গালির মধ্য দিয়ে গলাতে চেয়ে ক্যাচ তুললেন তৃতীয় স্লিপে। মেহেদী হাসান ফেলে দিলেন সহজ ক্যাচটি। ম্যাচের প্রথম বলেই জীবন পাওয়া তানজিদ ফিরলেন ১৩২ বল পর, ১৪১ রান করে।

জাতীয় লিগের ২০২৪-২৫ মৌসুমের উদ্বোধনী দিনটা তানজিদের দল শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৩৮৫ রান তুলে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেন ৯১ রানে ও শাখির হোসেন ৬১ রানে অপরাজিত থেকে শেষ করেছেন দিন।

২৬তম জাতীয় লিগের প্রথম দিনে পুরো খেলা হয়েছে শুধু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেই। বাজে আবহাওয়ার প্রভাবে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় পাশের একাডেমি গ্রাউন্ডে দেরিতে শুরু হওয়া ঢাকা মহানগর ও বরিশাল বিভাগ ম্যাচে খেলা হয়েছে ৪৪ ওভার। মহানগর দিন শেষে করেছে ১ উইকেটে ১০২ রান তুলে। বৃষ্টির কারণে বগুড়ায় রংপুর-চট্টগ্রাম ও খুলনায় সিলেট-ঢাকা বিভাগ ম্যাচে একটি বলও হয়নি।

সিলেটে প্রথম বলেই ‘জীবন’ পাওয়া তানজিদ পেয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্থ সেঞ্চুরি। দুই বছর আগে খুলনার বিপক্ষেই তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করে ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন জাতীয় দলের এই বাঁহাতি ওপেনার। ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কা মারা তানজিদ আরেকটি বাউন্ডারি পেলেই এই সংস্করণে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংসটা ছুঁয়ে ফেলতেন। ২০২১-২২ মৌসুমে জাতীয় লিগেই ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে ১৪৫ রান করেছিলেন তানজিদ। সেটি ছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি।

তানজিদ আজ সাব্বির হোসেনকে (১৮) নিয়ে প্রথম উইকেটে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। ২৮ রান পর তাঁকে রেখে ফিরে যান হাবিবুর রহমান (১৩)। এরপর প্রিতম কুমারকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি তানজিদের। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান প্রিতম ফেরেন ৬২ বলে ৪৬ রান করে। ৪০ বলে ফিফটি ও ১০১ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া তানজিদ এরপর ফরহাদকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে আরও ৮৪ রান যোগ করে আউট হয়েছেন চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে। পেস বোলিংয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েই ফিরেছেন, আবদুল হালিমের বলে ক্যাচটি নিয়েছেন উইকেটকিপার মোহাম্মদ মিঠুন।

চা–বিরতির আগেই তানজিদকে হারানোর পর অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে ১৩৪ রান যোগ করেন ফরহাদ ও শাখির। জুটিটা ভাঙতে পারত ৮৯ রানেই। ফরহাদ যখন ৬৭ রানে ছিলেন, তাঁর ক্যাচ ফেলেন নাহিদুল ইসলাম। এবারও দুর্ভাগা বোলারের নাম আল আমিন হোসেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *