ডাকসু নির্বাচন: কীভাবে ভোট দেবেন ভোটাররা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হলের বাইরে আটটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে।

এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে।

ইতিমধ্যে ভোট দেওয়ার নিয়মকানুন ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছে চিফ রিটার্নিং অফিসারের অফিস। এই ভিডিওচিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে।

পাশাপাশি ভোট প্রদানে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করতে তিনটি অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউটে সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব সভায়ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নতুন ভোটারদের ভোটদান পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য ব্যালট বক্স প্রস্তুত করা হয়েছে। সিলেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য ব্যালট বক্স প্রস্তুত করা হয়েছে। সিলেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

যেভাবে ভোট দেওয়া যাবে

ভোটার তাঁর সুবিধাজনক সময়ে নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোটকেন্দ্রে থাকা পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটার তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করবেন।

ভোটার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হলে তাঁর লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন স্লিপ দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল আইডি কার্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন।

পরিচয় নিশ্চিতের পর ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় কালির দাগ দেবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।

ভোটার তালিকায় নিজের নামের পাশে স্বাক্ষর করবেন ভোটার। এরপর পোলিং অফিসারকে ভোটার নম্বর জানাতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)ফাইল ছবি

ব্যালট নিয়ে ভোটার প্রবেশ করবেন গোপন ভোটকক্ষে। ভোটকক্ষে মোবাইল ফোন বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।

ব্যালট পেপার থেকে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর খুঁজে বের করবেন ভোটার।

এরপর পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের ঘরে স্পষ্টভাবে ক্রস চিহ্ন দেবেন ভোটার। খেয়াল রাখতে হবে, ক্রস চিহ্নটি যেন ঘরের বাইরে না যায়।

পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদান শেষে ব্যালট বক্সে ব্যালট পেপার জমা দেবেন ভোটার।

কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট বক্স থাকবে। ব্যালট পেপার ভাঁজ না করে সেগুলো নির্ধারিত বক্সে ফেলে ভোটার তাঁর ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা রয়েছে, আর ব্রেইল পড়তে পারেন, তাঁদের জন্য প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তবে যাঁরা ব্রেইল পড়তে পারেন না, তাঁরা আরেকজনের সহযোগিতা নিয়ে অন্য সবার মতোই ভোট দিতে পারবেন।

ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দিতে হল থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীর তালিকা পেয়েছে কমিশন। তারা এবার ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন।

ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *