মুখের দুর্গন্ধ অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। সেটা হতে পারে প্রথম ডেট, গুরুত্বপূর্ণ মিটিং কিংবা সাধারণ আলাপচারিতার সময়—মুখের দুর্গন্ধ মুডকে নষ্ট করে দিতে পারে। যদিও খারাপ মৌখিক স্বাস্থ্য অন্যতম প্রধান কারণ, তবুও অনেক সাধারণ অভ্যাস আপনার শ্বাসকে কষ্টকর করে তুলতে পারে। নিচে চারটি সাধারণ কারণ এবং সেগুলো প্রতিরোধের উপায় দেওয়া হলো।
১. পানি কম খাওয়া
হ্যাঁ, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। কারণ শরীরে পানি কম থাকলে থুতু তৈরি কমে যায়, যার ফলে মুখে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। থুতু স্বাভাবিকভাবেই মুখকে পরিষ্কার রাখে, খাদ্যের কণিকা ও দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলে। পানি কম খাওয়ার কারণে মুখ শুকনো হয়ে যায় এবং সেলেনিয়াম-উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়, যা দুর্গন্ধের জন্ম দেয়। এই সমস্যার সমাধান হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস (৮ আউন্স) পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন।২. খাবারের পছন্দ
আপনি যা খান, তা আপনার শ্বাসের গন্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রসুন ও পেঁয়াজের পাশাপাশি কিছু খাবারও মুখের দুর্গন্ধ বাড়াতে পারে। বিশেষ করে উচ্চপ্রোটিনযুক্ত ডায়েট, যা অনেকেই ওজন কমানোর জন্য অনুসরণ করেন, শরীরের ফ্যাট ভেঙে কিটোন তৈরি করে, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এছাড়া, মিষ্টি খাবার ও পানীয় মুখের ব্যাকটেরিয়ার খাবার সরবরাহ করে, যার ফলে অ্যাসিড উৎপাদন এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই ফল ও সবজি সমৃদ্ধ খাবারে মনোযোগ দিন।
৪. বিভিন্ন রোগ
মুখের দুর্গন্ধ কখনো কখনো বড় কোনো রোগের সংকেতও হতে পারে। চিকিৎসা না পাওয়া রোগ বা গোপন কোনো সমস্যা দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। যেমন কিডনি রোগ, লিভার রোগ, ডায়াবেটিস, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজঅর্ডার (GERD) মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। ২০২৪ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনি রোগে আক্রান্ত শিশু, কিশোর ও যুবকদের মাঝে মুখের দুর্গন্ধ সাধারণ। মিঠাই খাওয়া বা ব্রাশ করার পরও যদি দুর্গন্ধ কাটে না, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।