দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স : জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার

আউলিয়া বেগম আলো : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. দিদারুল আলম বলেন, দুর্নীতি ও জনদুর্ভোগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। আমার সময়কালে এই দুইটা জিনিস কখনোই হবে না। কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি অথবা কাউকে দুর্ভোগে ফেলার অভিযোগ আসে, সেটি ছাড় দেওয়া হবে না।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় চার লেন সড়কের প্রকল্প নিয়ে মো. দিদারুল আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর মহাসড়কের অবস্থাটি আমি দেখেছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সড়কের কাজে সংযুক্ত লোকজন ভারতে চলে গেছে। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা চার লেন সড়কের বাকি কাজগুলো সরকারি অর্থায়নে করার অনুমোদন দিয়েছে। তাই অতি দ্রুতই চার লেন সড়কের অসমাপ্ত কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি জেনে অবাক হয়েছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটি নেই। যেহেতু বিষয়টি আমার জ্ঞাতার্থে এসেছে, সেহেতু অবশ্যই আমার এফসিআর রিপোর্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে দেওয়ার বিষয়টি জানানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের বন্ধ থাকা কাজ ফের শুরুর বিষয়ে ভারতীয় ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের তিনজন প্রকৌশলী আসবে শীঘ্রই। তাঁরা পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখার পর কাজ শুরু হতে পারে মহাসঙ্কটে থাকা এই মহাসড়কের। এজন্য নির্মাণাধীন সড়কটিতে যুক্ত ভারতীয়দের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির ঢাকাস্থ হাইকমিশন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব কাজে যাতে বিন্দুমাত্র বাঁধার সৃষ্টি না হয় এই ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে’।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চারলেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ ২টি প্যাকেজে ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক রয়েছে। প্রকল্পের এই অংশের রাস্তা ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এ দুটি প্যাকেজভুক্ত সড়কের বেশ কিছু অংশে এখনও নতুন রাস্তা নির্মাণ শেষ না হওয়ায় জনভোগান্তি সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *