বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সমন্বয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নয়ন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমে লড়াই করে যাচ্ছেন, সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বৈরাচারমুক্ত হওয়ার পরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যখনই আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছি- তারা সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচারের কথা বলে বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোনো অজুহাত কাজে লাগাতে পারেনি। কারণ, তাদের শক্তি তারা নিজেরা। যদি তারা তাদের নিজেদের চাহিদা পূরণের জন্য অহেতুক নির্বাচন পিছানোর অপচেষ্টা করে, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ কখনই তা মেনে নিবে না।
তিনি বলেন, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সামনে ছিলেন তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। তরুণরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে এটায় (জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া) বাধা দেওয়ার, প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও নেই।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।