নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বোঝাপড়ার প্রত্যাশায় বিএনপির

সাপ্তাহিক জনতার কণ্ঠ ডেস্ক / 30.01.2025
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো ঘোষিত হয়নি। তবে ভোট সামনে রেখে এরই মধ্যে জোরেশোরে চলছে ইসলামী দলগুলোর ‘নির্বাচনী ঐক্য’ গঠনের তৎপরতা। এমন প্রেক্ষাপটে ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে থাকতে যুগপতের ঐক্য ধরে রেখে ইসলামী দলগুলোকে কাছে টানার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপিও। রাজনৈতিক এমন মেরূকরণ পরিস্থিতিতে কৌশলের অংশ হিসেবে এখনই যুগপতের শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টনে যেতে চায় না দলটি। বর্তমানে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে সোচ্চার থাকা বিএনপি আসন বণ্টনের কাজটি করতে চায় ‘উপযুক্ত সময়ে’। বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষিত না হওয়া এবং বর্তমান ঘোলাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আসন বণ্টন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। সে কারণে এখনো ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ পদ্ধতি’ও স্পষ্ট করেনি দলটি।

এদিকে আসন চূড়ান্ত না হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য নির্বাচনের ধারণা দেওয়ায় এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন বিএনপির মিত্ররা। তারা নির্বাচনী এলাকায় যাতায়াত বাড়িয়েছেন। অনেকে প্রায় প্রতি মাসেই এলাকায় যাচ্ছেন। এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি করছেন সুধী সমাবেশ। প্রাথমিক গণসংযোগ কর্মসূচিও অব্যাহত রেখেছেন। ভোটারের আস্থা অর্জনে জনসম্পৃক্তমূলক কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নিচ্ছেন তারা, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। কেউ কেউ আবার বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার প্রচারণামূলক কাজও করছেন। তাদের এমন কার্যক্রমে একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হচ্ছে এলাকায়।

বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। এমনকি জুলাই-আগস্টে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব বলেও মনে করে দলটি। এ লক্ষ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। এর অংশ হিসেবে আগামী মাসে (ফেব্রুয়ারি) ঢাকাসহ দেশব্যাপী সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী কার্যক্রমও শুরু করেনি দলটি। তবে মিত্রদের এবার সর্বোচ্চ মূল্যায়নের চিন্তাভাবনা রয়েছে তাদের। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের অঙ্গীকার রয়েছে বিএনপির। তবে ভোটের আগেও নির্বাচনের ব্যাপারে আন্দোলনরত দলগুলোর মধ্যে একটা জাতীয় ঐক্য বা বোঝাপড়া হওয়া দরকার বলে মনে করে যুগপতের বেশিরভাগ শরিক।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বর্জন করেছিল বিএনপি। অবশ্য শেষ মুহূর্তে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠন করে দলীয় সরকারের অধীনেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। ওই নির্বাচনে জামায়াতকে ২২টিসহ তৎকালীন ২০ দলীয় জোটকে ৩৯টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ১৯টিসহ শরিকদের জন্য সর্বমোট ৫৮টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি।

এদিকে বিএনপি এখনো আসন বণ্টন চূড়ান্ত না করলেও যুগপতের শরিকদের নিজ নিজ এলাকায় নির্বিঘ্নে সাংগঠনিক ও জনসংযোগমূলক কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করেছে। এর অংশ হিসেবে গত ২২ অক্টোবর প্রাথমিকভাবে সমমনা শরিক জোটের ছয় নেতাকে নিজ এলাকায় জনসংযোগে সহযোগিতা করার জন্য দলের সংশ্লিষ্ট ছয় জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ‘অতীব জরুরি’ নির্দেশনা-সংবলিত চিঠি দেয় বিএনপি। এই ছয় নেতা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে চিঠিতে তাদের নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেক জায়গায় সাংগঠনিক ও জনসংযোগমূলক কার্যক্রম পরিচালনায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় শরিকদের আবেদনে কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে জেলা নেতাদের এই চিঠি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সব জেলায় অনুরূপ চিঠি দেয় বিএনপি। তবে এ চিঠির ঘটনায় তৃণমূলে ভুল বোঝাবুঝির পরিপ্রেক্ষিতে পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই চিঠি ধানের শীষের চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক মেরূকরণমূলক বর্তমান পরিস্থিতিতে ন্যূনতম আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যুগপতের ঐক্য ধরে রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ বিএনপি। এ লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারেও প্রস্তুত দলটি। সেক্ষেত্রে ‘জনপ্রিয়’ অনেক জেলা নেতার এবারও কপাল পুড়তে পারে। বিভিন্ন সময় মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বিএনপি তাদের এ বিষয়টি জানিয়েছেও।

যুগপৎ জোটের একাধিক নেতা কালবেলাকে বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তারা জানিয়েছেন, যথাসময়ে আসন বণ্টন চূড়ান্ত করা হবে। জোট শরিকদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। জোটের যাকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদেরও জানিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে জোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তাদের পক্ষে মাঠে থেকে জোরালোভাবে কাজ করতেও কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, তারা বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। যুগপতের ঐক্য ধরে রেখে ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্য হলে সেক্ষেত্রে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে পারে বিএনপি। এমনকি সমঝোতা ও বোঝাপড়া হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গেও নির্বাচনী ঐক্য হতে পারে। সামগ্রিক বিষয় তাদের বিবেচনায় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত জামায়াতকে নিয়ে নির্বাচনী ঐক্য হলে জোট শরিকদের ৭০টির বেশি আসনে ছাড় দেওয়ার চিন্তা রয়েছে বিএনপির। তবে ২০১৮-এর মতো এবারও জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্য হবে, নাকি জামায়াত এবার আলাদাভাবে নির্বাচন করবে, সেটা সময়ই বলবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ফেনী-৩ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা-৮ ও বাগেরহাট-১ আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ও ঢাকা-১২ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জামালপুর-৫ আসনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাজশাহী-৪ আসনে দলটির সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, নড়াইল-২ আসনে এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কুষ্টিয়া-২ আসনে দলটির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, পঞ্চগড়-২ আসনে জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, পঞ্চগড়-১ আসনে দলটির সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বরগুনা-২ আসনে ১২ দলীয় জোটভুক্ত লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কুমিল্লা-৭ আসনে এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ঢাকা-১৭ আসনে এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা-১০ আসনে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, ঢাকা-১ আসনে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান, লক্ষ্মীপুর-৩ ও ঢাকা-৮ আসনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী এবং পিরোজপুর-২ আসন থেকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এ ছাড়া ভোলা সদর ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ঢাকা-৫ আসন থেকে দলটির মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদসহ গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মন্টু ঢাকা-৭ এবং সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-৬ আসন থেকে ধানের শীষে ভোট করেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ আসন থেকে ভোট করেন এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ। তবে গত বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি অলি আহমদ বলেছিলেন, তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশ্য ভোটের মাঠে নিজের বদলে তার বড় ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে নামাচ্ছেন। জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১৪ আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওমর ফারুক।

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার কালবেলাকে বলেন, নির্বাচনের এখনো সময় নির্ধারণ হয়নি। তবে নির্বাচনের জন্য ভালো প্রস্তুতি রয়েছে। এলাকাকেন্দ্রিক সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। কমিটিগুলো গঠন, পুনর্গঠন করা হচ্ছে। জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে তাদের এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশে আগামী নির্বাচন হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি তার দলীয় ‘কোদাল’ প্রতীকে অংশগ্রহণ করবে। এবারকার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পার্টির এক ধরনের ব্যাপক প্রচার-পরিচিতি হয়েছে। পার্টির নেতৃত্বেরও একটা সুনাম-মর্যাদা-খ্যাতি-গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। ফলে নির্বাচনের প্রাথমিক যে বিষয়গুলো থাকে, প্রচারে জনগণের কাছে যাওয়া, সেটা পার্টি অর্জন করেছে। এটাকে এখন সাংগঠনিক রূপ দেওয়ার জন্য অতীতে আমরা যেসব আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, সেগুলোতে আমরা রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজ বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি। এর বাইরে নতুন কিছু এলাকাতেও আমাদের সংগঠন গড়ে উঠেছে। সেখানেও আমরা বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আসন বণ্টন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুল হক বলেন, গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আলাপ-আলোচনা চলছে। বিএনপির সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক নির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি। তবে সম্ভাবনা আছে; বিএনপিসহ আমরা যারা যুগপতে ছিলাম, তাদের সঙ্গে নিশ্চয় একটা নির্বাচনী বোঝাপড়া গড়ে উঠবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ কালবেলাকে বলেন, ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ২০১৮ সালে নড়াইল-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করেছি। সেবার দিনের ভোট রাতে হয়েছিল, মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এই আসন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। নিয়মিতই এলাকার জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। যে কোনো সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত আছি।

এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, সামনে জাতীয় পর্যায়ে দেশ যেন সঠিক পথে যায়, সেটা এখন আমাদের বড় চিন্তা। আমরা চাই, দেশ যেন সঠিক পথে থাকে। একই সঙ্গে আমরা যেহেতু রাজনৈতিক ময়দানে আছি, আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি কমবেশি সব সময় থাকে।

নির্বাচনী প্রস্তুতি প্রসঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের অন্যতম শীর্ষনেতা ও সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে বলেন, জনগণের পার্লামেন্টে জনগণের কথা বলার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, সেটা তিনি নেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *