যার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা সিডনিতে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটি ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন সিডনিভিত্তিক ভারতীয় নির্মাতা আলী সায়েদ। এতে ‘রিহানা’ নামে এক অস্ট্রেলীয় তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাটি নিয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা হয়েছে রুপন্তীর। লিখেছেন, মহিউদ্দীন মাহি।
আপনি অনেক দিন ধরেই বিনোদন জগতে কাজ করছেন, কিন্তু হঠাৎ করেই আপনার পরিচিত ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ বিষয়টি কেমন উপভোগ করছেন?
এটি আমার জন্য সত্যিই আনন্দের। কারণ বড় পর্দায় সিনেমাটি দেখে অনেকেই পজিটিভ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এবং কাজটি নিয়ে প্রশংসা করছেন, যা আমাকে অনেক বেশি আনন্দ দিচ্ছে। তাদের এমন ভালোবাসা পেয়ে মনে হচ্ছে আমি আমার কঠিন পরিশ্রমের ফল পেয়েছি।
সম্প্রতি বলিউডের সিনেমায় অভিনয় করেছেন আপনি। এটি আপনার অভিনয় ক্যারিয়ারকে কতটা বুস্ট আপ করবে বলে মনে করেন?
আমি আশাবাদী একজন মানুষ। তবে পরিশ্রম করতে ভালোবাসি। সেই জায়গা থেকে ‘হিন্দি ভিন্দি’ সিনেমায় অভিনয়ের পর অনেক নির্মাতার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় এবং যোগাযোগ বেড়েছে। যারা আমার কাজ নিয়ে প্রশংসা করেছেন। তাই আমি আশাবাদী এ সিনেমা আমার অভিনয় ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে অনেক বেশি সহযোগিতা করবে।

‘হিন্দি ভিন্দি’ সিনেমায় আপনার সঙ্গে অনেকেই অভিনয় করছেন। যার মধ্যে নীনা গুপ্তা উল্লেখযোগ্য। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাই?
নীনা গুপ্তা একজন অসাধারণ আর্টিস্ট। তিনি নির্মাতার মনের ভাষা বোঝেন। শুটিংয়ে অভিনয়ের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেন। তাকে দেখে অভিনয়ের অনেক কিছু শেখার আছে। কারণ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে গেলাম আর সংলাপ দিলাম এটা অভিনয় নয়। অভিনয় পুরোটাই ভেতর থেকে আসতে হয়। আর তিনি সেটাই করেন, যেটা তার হৃদয় থেকে আসে। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। আমি আশাবাদী তার বয়সে, তার মতো অভিনয় করতে চাই।
এই সিনেমার সঙ্গে কীভাবে কাজের সুযোগ হয়?
এই সিনেমায় আমি ‘রিহানা’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। যেই চরিত্রের জন্য প্রথমে তারা ভারতীয় একজনকে ভাবেন। এরপর ভিসা জটিলতায় এমন একজনকে খুঁজছিলেন, যিনি অস্ট্রেলিয়ার উচ্চারণে কথা বলতে পারেন। সঙ্গে ভাঙা ভাঙা হিন্দিও বলতে পারেন। তারপর অডিশনের খবর পেয়ে চরিত্রটির জন্য অনলাইনে আবেদন করি। কয়েক দফায় অনলাইনেই অডিশন দিই। এরপর সামনাসামনি অডিশনের মাধ্যমে আমাকে চূড়ান্ত করা হয়।


দেশের আর্টিস্টদের কীভাবে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোয় কাজের সুযোগ বাড়তে পারে বলে আপনি মনে করেন?
বিশ্ব বাজারে এখন কাজের বিশাল সুযোগ। কারণ পুরো দুনিয়া আপনার হাতের মুঠোয়। এখন কারও সঙ্গে মিটিং করতে আপনাকে ভ্রমণ করতে হয় না। আপনি ঘরে বসেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তার সর্ম্পকে জানতে পারেন। তাই আমি মনে করি দেশের আর্টিস্টদের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোয় কাজের জন্য কমিউনিকেশন বাড়াতে হবে এবং অভিনয়ে ধারাবাহিকতা ও লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে নিজেকে এগিয়ে নিতে হবে।
বলিউডে কাজ করলেন, এবার হলিউডে কাজের পরিকল্পনা আছে?
আমার কাছে বলিউড, হলিউড এবং আমাদের ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। সব কিছুই নির্ভর করে নির্মাতা, গল্পের ওপর। যেখানেই ব্যাটে বলে হবে আমি অভিনয় করার জন্য প্রস্তুত আছি।
অভিনয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা…
আমি সময় নিয়ে কাজ করতে চাই। নিজেকে আরও বেশি পরিপক্ব করতে চাই। এখন অনেক কাজের অফার আসছে। আমার কাছে কোয়ান্টিটির চেয়ে কোয়ালিটির গুরুত্ব বেশি। তাই অল্প হোক; কিন্তু ভালো কাজ হোক, এটাই আমার উদ্দেশ্য।