তাল এমন একটি ফল, যা কচি অবস্থায় শাঁস হিসেবে এবং পাকলে রস বের করে খাওয়া যায়। আবার এর বীজ দীর্ঘদিন মাটিতে রেখে দেওয়ার পর তা থেকে পাওয়া শাঁসও খাওয়া যায়। এই এক ফলই বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এ ছাড়া তালের রস দিয়ে পিঠা, পায়েস, কেক কিংবা পুডিং খেতেও ভীষণ মজা।
পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম পাকা তালে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৭৭.৫ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.৮ গ্রাম আমিষ, ০.১ গ্রাম চর্বি, ১০.৯ গ্রাম শর্করা, ১ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.০৪ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০২ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ০.৩ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ও ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের রোগ বা কৃমির সমস্যা আছে, তারা এই মৌসুমে তাল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
তাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সুফল হলো, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানটির ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থেকে মুক্তি দিতে স্মৃতিশক্তিকে বেশ প্রখর করে তুলতে পারে।
অনেক সময় ভালো ঘুম হয় না। তার ওপর মাঝে মাঝে বুক ধড়ফড়ও করে। সে ক্ষেত্রে তালের রস খাওয়া যেতে পারে। তালের রস দ্রুত কার্যকর টনিক হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকে রোগীদের দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তালের রস খাওয়ানো হয়। প্রচণ্ড ক্লান্তিতে এক গ্লাস তালের রস খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দেখুন এর জাদু।
গরমের সময় অনেকেই মূত্রত্যাগজনিত সমস্যায় ভোগেন। টানা কয়েক দিন তালের রস পান করলে এই ঝামেলা মিটবে অনেকটাই। তবে অতিরিক্ত কোনো জিনিসই ভালো নয়, তাই অতিরিক্ত তাল খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। নয়তো ভালোর পরিবর্তে খারাপ হতে সময় লাগবে না।