পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী গ্রেপ্তার

 

গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগে । বুধবার সকালেই তার বাসভবনের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসলামাবাদের কোহসার পুলিশ স্টেশনে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা। গ্রেপ্তার করার পর লাহোর ক্যান্টমেন্টের একটি কোর্ট তাকে ইসলামাবাদে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে পুলিশকে। এর আগে গ্রেপ্তার নোটিশের বিষয়ে সুয়োমটো নোটিশ চেয়ে প্রধান বিচারপতির প্রতি আহ্বান জানান ফাওয়াদের স্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। কারণ, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ফাওয়াদ চৌধুরীসহ কোর্টে উপস্থিত হতে পাঞ্জাব ও ইসলামাবাদের আইজি’কে সমন পাঠিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট। জবাবে আদালতকে পাঞ্জাব সরকার জানিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশের হেফাজতে আছেন ফাওয়াদ।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা এফআইআরে বলেছেন, নির্বাচন পরিষদের সদস্য এবং তাদের পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন সাবেক এই তথ্যমন্ত্রী। তার ভাই বলেছেন, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নম্বরবিহীন চারটি গাড়ি গিয়ে ফাওয়াদ চৌধুরীকে তুলে নিয়েছে।
তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তারা তা জানেন না। ফাওয়াদ চৌধুরীর এই ভাইয়ের নাম ফয়সল। তিনি একজন সুপরিচিত আইনজীবী। তিনি তার ভাইকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন। আদালতে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন। পরে ফাওয়াদ চৌধুরীকে লাহোর ক্যান্টনমেন্টের একটি কোর্টে তোলা হয়। সেখানে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাকে পুলিশের কাছে ট্রানজিট রিমান্ড দেয়। ততক্ষণে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে লাহোর হাইকোর্টে আলাদা একটি ফাইল জমা দেন ফাওয়াদ চৌধুরীর কাজিন নাবিল শাহজাদ। এতে আসামী করা হয়েছে পাঞ্জাব সরকার, প্রাদেশিক পুলিশ কর্মকর্তা, সন্ত্রাস দমন বিভাগ, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং ডিফেন্স এ-এর স্টেশন হাউজ অফিসারকে। দাবি করা হয়েছে, পিটিআইয়ের এই নেতাকে অন্যায়ভাবে, অসাংবিধানিকভাবে, আইনগত বৈধতা ছাড়াই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, পুলিশকে যেন আদালত তাকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেয়। এ নিয়ে বুধবার সারাদিন উত্তেজনা বিরাজ করছিল পাকিস্তানে। একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *