প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে পুরুষেরা কী খাবেন

 

ফার্টিলিটি বা প্রজনন কেবল নারীদের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ এমন ধারণা ঠিক নয়। নারীর পাশাপাশি এটি পুরুষের জন্যও সমান প্রয়োজনীয়।

শরীরে যে খাদ্য সরবরাহ করা হয় তাই ফার্টিলিটির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করে, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ প্রজনন অভ্যাস বজায় রাখতে সহায়তা করে।

অন্যদিকে, পুষ্টিকর খাবার শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করে, হরমোনের নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে এবং সামগ্রিক প্রজনন কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

১. জিঙ্ক

টেস্টোস্টেরন উৎপাদন এবং শুক্রাণু বিকাশের জন্য জিঙ্ক একটি অপরিহার্য খনিজ। জিংকের ঘাটতি শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতিশীলতা হ্রাসের কারণ হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা পর্যাপ্ত জিংক গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য খাদ্যতালিকায় চর্বিহীন মাংস, কুমড়োর বীজ, ছোলা এবং ডিম যোগ করার পরামর্শ দেন।

২. ভিটামিন সি

ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জারণ চাপ কমায় এবং শুক্রাণুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে। লেবুজাতীয় ফল, স্ট্রবেরি, বেল পেপার এবং ব্রোকলি ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস। তাই এ ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৩. ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি-এর অভাব টেস্টোস্টেরন হ্রাস এবং শুক্রাণুর নিম্নমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। সূর্যের আলোতে থাকা, স্যামন, ফোর্টিফাইড দুধ এবং ডিমের কুসুম খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করা যেতে পারে। তবে ভিটামিন ডি-এর সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৪. ফোলেট

ফোলেট ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং শুক্রাণু উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি খাদ্যতালিকায় যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। ফোলেটের কিছু সমৃদ্ধ উৎসের মধ্যে রয়েছে পাতাযুক্ত সবুজ শাক, মটরশুটি, মসুর ডাল এবং ফোর্টিফাইড সিরিয়াল।

৫. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হলো স্বাস্থ্যকর চর্বি যা শুক্রাণুর আকৃতি (আকৃতি) এবং গতিশীলতা উন্নত করে। আপনার খাদ্যতালিকায় স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ, সেইসঙ্গে আখরোট এবং তিসির বীজ যোগ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *