কিডনিতে পাথর হওয়া মানে শুধুমাত্র তীব্র পাশের ব্যথা নয়। প্রতি ১১ জনে ১ জনের জীবনে কখনো না কখনো কিডনিতে পাথর হতে পারে। পুরুষদের মধ্যে এই ঝুঁকি নারীদের তুলনায় দ্বিগুণ।
অথচ এই পাথর মূলত গড়ে ওঠে আমাদের প্রতিদিনের নীরব কিছু অভ্যাস থেকে। সকালবেলার পানীয় থেকে শুরু করে দৈনন্দিন খাবারের ধরন—অনেক ছোট ছোট অভ্যাস ধীরে ধীরে কিডনির জন্য সমস্যা তৈরি করে।
অনেকে মনে করেন, শুধু বেশি লবণ খেলে বা পানি কম খেলে কিডনিতে পাথর হয়। কিন্তু বাস্তবতা আরও জটিল এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিস্ময়কর।
১. খালি পেটে গরম চা বা কফি দিয়ে দিন শুরু করা
সকালে উঠে গরম চা বা কফির কাপ হাতে নেওয়া বেশ আরামদায়ক। তবে যখন এগুলোই হয় শরীরে প্রথম গ্রহণ করা জিনিস, বিশেষ করে খালি পেটে, তখন এর ক্ষতি হতে পারে।
চা ও কফিতে থাকে অক্সালেট নামক একধরনের যৌগ, বিশেষ করে কালো চায়ে। বেশি পরিমাণে বা খালি পেটে এগুলো খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে কিডনিতে স্ফটিক তৈরি করে, যা পরে পাথরে পরিণত হতে পারে।
এছাড়া, খালি পেটে এগুলো খেলে পেটে অম্লতা (অ্যাসিডিটি) বাড়ে।
সমাধান—খালি পেটে আগে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি পান করুন। পরে কিছু খাবার খাওয়ার পর চা বা কফি গ্রহণ করুন।
২. বেশি পরিমাণে প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া, তবে ভারসাম্য না রাখা
প্রোটিন শরীরের পেশি গঠন ও শক্তির জন্য দরকার। তবে বেশি প্রাণিজ প্রোটিন (যেমন মাংস, মাছ, ডিম) খেলে প্রস্রাবে অম্লতা বাড়ে, যা ক্যালসিয়াম নির্গমন বাড়িয়ে দেয় এবং সাইট্রেট নামক একটি প্রাকৃতিক পাথর-নিয়ন্ত্রক উপাদান কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খাওয়া কিডনিতে পাথর তৈরির বড় কারণ।