সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। যুবরাজ মোহাম্মদ বলেছেন, তার দেশ ‘ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার রক্ষা, তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা এবং ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য সব সময় পাশে থাকবে।’ সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি যুবরাজ মাহমুদ আব্বাসকে আরো বলেছেন, তিনি সংঘর্ষের ‘বিস্তৃতি’ রোধ করতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পক্ষের সঙ্গে কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। আব্বাস পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণকারী ফাতাহ আন্দোলনের প্রধান। তিনি প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রধান হিসেবেও দায়িত্বরত।
তবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
রিয়াদ ও তেল আবিবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ইসরায়েল, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে এটি সৌদি আরবের ভিন্নমুখী অবস্থান।
আরো পড়ুন : সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক তৈরি প্রচেষ্টার নিন্দা ইরানের
সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক প্রতিনিয়তই ঘনিষ্ঠ হচ্ছে : যুবরাজ
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ওই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায় একটি বড় ধরনের আঘাত।
হামাসের হামলার পর শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সৌদি আরব এই উত্তেজনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তারা জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনে অব্যাহত দখলদারি, সেখানকার মানুষদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং তাদের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর বারবার আঘাতের কারণে সেখানকার পরিস্থিতি বিস্ফোরণমুখী হয়ে উঠতে পারে বলে বারবার সতর্ক করা হয়েছে।