ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলে বিক্ষোভ

হামাসের হেফাজতে ২০০ এরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক বন্দী অবস্থায় রয়েছে। বিক্ষোভে আটক করা এই বন্দীদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সাথে ‘বন্দী চুক্তি’ নিয়ে আলোচনার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করছে ইসরায়েল। এতে করে গাজায় শুরু হওয়া যুদ্ধ যেন দীর্ঘ হতে যাচ্ছে।
গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধে ইসরায়েলের শহর তেল আবিবে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সেখানে বিক্ষোভকারীদের হাতে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বর্তমানে হামাসের হেফাজতে ২০০ এরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক বন্দী অবস্থায় রয়েছে। বিক্ষোভে আটক করা এই বন্দীদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সাথে ‘বন্দী চুক্তি’ নিয়ে আলোচনার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির ব্যস্ততম গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালে জড়ো হয়েছিল শত শত মানুষ। শহরের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ হাব হিসেবে পরিচিত স্থানটিতে গত শুক্রবার কালো টি-শার্ট পরে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে তারা।
চলমান র‍্যালির কারণে ম্যানহাটনে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন টার্মিনালটি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছিল নিউ ইয়র্ক পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অন্তত ২০০ বিক্ষোভকারীকে আটকের তথ্য পাওয়া গেছে।
ইহুদি মার্কিন নাগরিকসহ বিক্ষোভকারীদের টি-শার্টে ‘এখনই যুদ্ধবিরতি চাই’, ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়’ ইত্যাদি লেখা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে ও গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে করা ব্যানারও দেখা যায়।
সেখানে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকে যে, “আর অস্ত্র নয়। আর যুদ্ধ নয়। আমরা লড়াই করছি যুদ্ধবিরতির জন্য।”
ফিলিস্তিনের পক্ষে ও যুদ্ধ বন্ধের ব্যানারগুলো টার্মিনালের সিঁড়ি থেকে শুরু করে প্রস্থান বোর্ডজুড়ে টানানো হয়েছে। তারমধ্যে একটি ব্যানারে লেখা, “মৃতদের জন্য শোক এবং জীবিতদের জন্য নরকের মত যুদ্ধ।”
নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির পক্ষ থেকে জানা যায়, টার্মিনালটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এক্ষেত্রে কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এটি বিক্ষোভের কারণে বন্ধ হওয়ায় তৈরি হয়েছে দুর্ভোগ।
এদিকে ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি স্থলবাহিনী গত শুক্রবার রাত থেকে গাজায় অভিযান বাড়াচ্ছে। বোমার আঘাতে জ্বলতে থাকা অঞ্চলটিতে সাধারণ যোগাযোগের সব মাধ্যম বন্ধ রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলের বিমান হামলার কারণে গাজার অবস্থা এমনিতেই শোচনীয় ছিল। এখন স্থল আক্রমণের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি যেন আরও অবনতির দিকে পৌঁছেছে।
ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমা হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে৷ হামাস পরিচালিত উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *