বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমি : এবার সেরা খোঁজার পালা

 

দিন দিন উন্নতি হচ্ছে প্রশিক্ষণার্থীদের। কনফিডেন্স পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই তো তারকা খোঁজার প্রক্রিয়া হিসেবে এ মাসেই শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। যেখান থেকে সেরা ফুটবলার বাচাই করবে বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমি। সরেজমিনে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার ফুটসাল গ্রাউন্ডে প্রশিক্ষণের সময় সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণার্থী ফুটবলার, অভিভাবক ও কোচরা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

ঢাকার একটি স্কুলের ক্লাস থ্রির আফফান আল ফারবী বলেন, ‘আমি আগে ফুটবল তেমন খেলিনি। আগে তেমন বেশিক্ষণ খেলতে ও বুঝতে পারতাম না। কিন্তু এখানে ভর্তি হওয়ার পর বেশিক্ষণ মাঠে খেলতে পারছি। আগের চেয়ে ভালোভাবে বল কিক করতে পারছি। নিপু স্যার সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার বিষয়েও সচেতন করে দিচ্ছেন।’

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ১৬-১৮ বছর বয়স গ্রুপের মো. হিমেল মিয়াও একাডেমির প্রশিক্ষণে সন্তুষ্ট। হিমেল বলেন, তিন মাস নিয়মিত প্রশিক্ষণ কম সময় নয়। আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে আমাদের। আমি খুশি, আলহামদুলিল্লাহ। আমার বল নিয়ন্ত্রণ আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছি। পাশাপাশি টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে সবাই ভালো করছে।

অভিভাবক আহমদ নিয়াজুল ইসলাম তার ছেলের সামাজিকীকরণ নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। নিয়াজ বলেন, সে এখানে নিজেকে শারীরিকভাবে তৈরি করার পাশাপাশি বিকশিত করছে। এতেই আমি খুশি। বাকিটা ওর ইচ্ছা। আমার ছেলে এই প্রথম ফুটবল খেলছে। অনেক কমতি ছিল। এখন সে টিমওয়ার্ক, ফিজিক্যাল ও টেকনিক্যাল বিষয়ে সচেতন হচ্ছে। নিজেকে আরও বিকশিত করছে। আরেক অভিভাবক নইম ইমতিয়াজও প্রায় একই মন্তব্য করেছেন। তবে দেশের ফুটবলের সোনালি ইতিহাস ফেরাতে আরও ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠার কথা জানান।

বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমিতে মিশ্র প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হয়েছেন। ফলে যাদের যে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন তারা সেটাই দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কোচ এস এম আসিফুজ্জামান। তিনি বলেন, কেউ বয়সে ছোট কিন্তু পারফরম্যান্স দারুণ। আমরা তাকে বড়দের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এটা মূলত আমরা তার পারফরম্যান্স, টেকনিক্যাল বিষয় ও ফোর কর্নারের বিচারের ওপর নির্ধারণ করি।

এদিকে, প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে সেরাদের বাছাই করতে এ মাসেই টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা জানিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়েজিদ আলম জুবায়ের নিপু। তিনি বলেন, আমরা প্রশিক্ষণার্থীদের পারফরম্যান্সে কনফিডেন্স পাচ্ছি। ট্রেনিং প্রক্রিয়াটা তারা দ্রুত রপ্ত করতে পারছে। যার ফলে অভিভাবকরাও খুশি। তাই ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছি। সেরা খেলোয়াড় বাচাই করে তাদের আলাদা ট্রেনিং করানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *