০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সাপ্তাহিক জনতার কণ্ঠ
সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্জিত জ্ঞানকে মানুষের কল্যাণ ও সেবায় কাজে লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, সরস্বতী পূজা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় উৎসব। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে বিদ্যা ও জ্ঞানের কল্যাণময়ী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অগণিত ভক্ত ও শিক্ষার্থী। পূজা অর্চনার পাশাপাশি বর্ণিল সাজ ও নানা আয়োজনে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ একটি অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণকর ও উন্নত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা গড়ে তুলবো জ্ঞানভিত্তিক, সৌহার্দপূর্ণ ও বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ। সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হোক আমাদের দেশ, জাতি ও সমাজের প্রতিটি নাগরিক।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল থেকে বাণী অর্চনা, আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলিতে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তাদের বিশ্বাস, ভগবানের জ্ঞান ও বিদ্যার রূপ হলেন দেবী সরস্বতী। প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যাদেবীর পূজা হয়। হাতে বীণা থাকে বলে সরস্বতীকে বীণাপাণিও বলা হয়। সাদা রাজহাঁস বিদ্যার দেবীর বাহন। ঢাকার বিভিন্ন মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন হলেও সরস্বতী পূজার প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠ।