বৃটিশ সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরের পর বিমান বাংলাদেশ ১০টি এয়ারবাস কেনার অর্ডার দিতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। বৃটেনের এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স স্কিমের মাধ্যমে এসব বিমান কিনতে তহবিল সুবিধা পাবে বিমান বাংলাদেশ। এই স্কিমে বাংলাদেশ সহজলভ্য চুক্তিতে তহবিল পেতে সক্ষম হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এয়ারয়েজম্যাগ।
এতে আরও বলা হয়, বিমান ক্রয়ের অর্ডারের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ ইউরোপের বিমান নির্মাতার কাছ থেকে আটটি যাত্রীবাহী এবং দুটি ফ্রেইট বিমান কেনার অর্ডার দিতে যাচ্ছে। এগুলো হতে পারে এ৩৫০ ভ্যারিয়েন্টের এয়ারবাস। এই চুক্তি পাওয়ার জন্য লবিং করছিল এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তারা প্রদর্শন হিসেবে একটি বিমান পাঠিয়েছিল ঢাকায়। বৃটেনের ডিপার্টমেন্ট ফর বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লেইনস্টোন সিবিই’র লর্ড ডমিনিক জনসন বলেছেন, এই চুক্তি এটাই প্রদর্শন করে- বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল খাতকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বৃটেন। এতে উভয় দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
বিমান বাংলাদেশ ফ্লিটের বর্তমান দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে এয়ারবাসের প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িংকে কেন্দ্র করে।
বর্তমানে এর আছে ২১টি বিমান। এর মধ্যে ৬টি হলো ৭৩৭-৮০০এস, চারটি ৭৭৭-৩০০ইআরএস, চারটি ৭৮৭-৮এস, দুটি ৭৮৭-৯এস এবং ৫টি ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা ডিএইচসি-৮-কিউ৪০০এস। সর্বশেষ ২০১৬ সালে নিজের এয়ারবাস বিমান বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে। এরপর তার সর্বশেষ এ৩১০-৩০০এস বিমানকে অবসরে পাঠিয়েছে। ২০১৮ সালে ওয়ামোস এয়ার (ইবি)’র কাছ থেকে একজোড়া এ৩৩০-২০০ এস লিজ নেয় তারা। বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বলেছেন- জাপান, যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কিছু নতুন রুটে বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে নেয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের জন্য এয়ারবাস ফ্লিট কেনা হলো আমাদের পরিকল্পনার অংশ।