কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক মীর হোসেনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ যশপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশে দেন এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার অভিযোগ তুলে নিহতের পরিবার।
গত মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বুড়িচং উপজেলার রামপুর এলাকায় একটি বাড়ির তৃতীয় তলার কক্ষ থেকে মীর হোসেনের স্ত্রী জাহেদা আক্তার (৩৫) এবং এ দম্পতির মেয়ে মিশু আক্তারের (১৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জাহেদা ও তার মেয়ে স্থানীয় একটি জুতা কারখানায় চাকরি করতেন। মীর হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামে। শ্বশুর বাড়ি পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামে। গত ১২ জুলাই তিনি বুড়িচং রামপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নেন।
ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ জানায়, মা-মেয়ের মৃত্যুর পর ভাড়া বাসা থেকে পালিয়ে ছাগলনাইয়ার যশপুর গ্রামের বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন মীর হোসেন। বুধবার রাতে খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী বাড়ি ঘেরাও করে তাকে আটক করে। পরে তাকে ছাগলনাইয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
নিহত জাহেদা আক্তারের মা হোসনে আরা অভিযোগ করেন, মীর হোসেন ঋণগ্রস্ত ছিলেন। পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে তার মেয়ে ও নাতনিকে হত্যা করেছে মীর হোসেন। তিনি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
মীর হোসেনের ছোট মেয়ে বিবি ফাতেমা জানায়, ঘটনার পূর্বে তার মায়ের সঙ্গে বাবার তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। তার অভিযোগ, বিষ খাইয়ে তার মাকে হত্যা করেছে বাবা। দেখে ফেলায় তার বোনকেও হত্যা করা হয়।
ছাগলনাইয়া থানার ডিউটি অফিসার জানান, রাতেই বুড়িচং থানা পুলিশ মীর হোসেনকে নিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে ওই থানায় মামলা হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার রাতে মা-মেয়ের লাশ ছাগলনাইয়ার জয়নগর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।