মেধাবীরা অপরাধে জড়ালে কী হয়, পি কে হালদার তার উদাহরণ: আদালত

বিচারক তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, যারা অবৈধভাবে বিদেশে দ্বিতীয় আবাস গড়ে তোলে, তারা ‘দেশকে ভালোবাসে না’।

একজন মেধাবী ব্যক্তি অপরাধে জড়ালে সে যে জাতির জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে দাঁড়ায়, পি কে হালদার তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলে মন্তব্য এসেছে আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণে।

ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রোববার তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, যারা অবৈধভাবে বিদেশে দ্বিতীয় আবাস গড়ে তোলে, তারা ‘দেশকে ভালোবাসে না’।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের এই মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

দুর্নীতির কোনো মামলায় এবারই প্রথম পি কে হালদারের সাজার রায় এল। মামলার বাকি ১৩ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে।

আসামিদের মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারীর উপস্থিতে রায় দেন বিচারক।

পলাতক রয়েছেন ১০ জন। এরা হলেন- পিকে হালদার, তার মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “একজন নাগরিক তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে জাতি গঠনে যেরূপ ভূমিকা রাখতে পারে, ঠিক তেমনি অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে তখন সে জাতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। আসামি পি কে হালদার তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

“মানুষ ব্যক্তি স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়। পি কে হালদারের নিকট দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজের স্বার্থ অনেক বড় ছিল । আমরা যেন নিজের সামান্য ব্যক্তি স্বার্থের জন্য মানিলন্ডারদের সহযোগী না হই।”

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচারের মামলার আসামি পিকে হালদার বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবাংলায় কারাগারে আটক আছেন। সেখানেও তার বিচার চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *