যানজটে বসে নীতাকেবিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আম্বানি

বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য তিন সপ্তাহ ধরে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনই একদিন গাড়িতে করে ঘুরতে বেরিয়ে মুম্বাইয়ের পেডার রোডে যানজটে আটকা পড়েন মুকেশ ও নীতা। যানজটে বসে থাকতে থাকতে মুকেশের মনে হয়, নীতাই সেই মেয়ে, যাঁকে তিনি বিয়ে করতে পারেন। আর হুট করে তখনই তিনি নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন।
সিমি গারেওয়ালকে মুকেশ আম্বানি বলেছিলেন, ‘নীতাকে আমি আমার জীবনসঙ্গী করব, তা অনেকটাই মনস্থির করে ফেলেছিলাম। আর তাই পেডার রোড দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় আমি হুট করেই ওকে বলে বসলাম, “নীতা তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে? এখন শুধু হ্যাঁ অথবা না বলো।”’
মুকেশ বলেন, প্রশ্নটি শুনে নীতা তাঁকে শুধু গাড়ি চালাতে বলেন। কারণ, এভাবে বসে থাকায় যানজট আরও বাজে আকার ধারণ করছিল। লোকজন চিৎকার করছিল। গাড়িগুলো হর্ন দিচ্ছিল।
নীতা বলেন, ‘মুকেশ, গাড়ি টান দাও।’ মুকেশ তখন নীতাকে বলেন, ‘আমাকে হ্যাঁ অথবা না বলো। আমি গাড়ি ছাড়ব না।’
পরপর তিনবার জিজ্ঞেস করার পরও নীতা কোনো সাড়া দিচ্ছিলেন না। এরপর মুকেশের প্রস্তাবে সায় দেন তিনি।
মুকেশ বলেন, ওই ঘটনার পর নীতা আম্বানি জানতে চেয়েছিলেন, তিনি যদি প্রস্তাবে রাজি না হতেন, তাহলে মুকেশ তখন কী করতেন? নীতা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কি তখনই আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিতে এবং নিজে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে?’
মুকেশের জবাব ছিল, ‘না, আমি তোমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতাম এবং আমরা বন্ধু হয়ে থাকতাম।’
সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে ওই আলাপচারিতায় মুকেশের সঙ্গে নীতা আম্বানিও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নীতা বলেছেন, বিয়ের এক বছরের মাথায় তিনি সানফ্লাওয়ার নার্সারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। লোকজন তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করত। তবে তাতে তাঁর কিছু যায়-আসেনি। কারণ, কাজটি করে তিনি আত্মতৃপ্তি অনুভব করতেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *