রবিবার (২২ ডিসেম্বর) জার্মানির সংবাদমাধ্যম ফুংকে মেডিয়েনগ্রুপেকে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হাইব্রিড হামলার দিকে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এর লক্ষ্য হলো জার্মানি।’
পিস্টোরিওস বলেন, ‘তিনি ভালো করেই জানেন, পুতিন জানেন, কীভাবে আমাদের খোঁচা দিতে হয়।’
এসময় তিনি জার্মানির অবকাঠামো এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। এরমধ্যে রয়েছে নর্থ সি এবং বাল্টিক সি’র ঘটনা যার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়।
তার মতে, জার্মান সমাজকে বিভক্ত করতে ক্রেমলিনপন্থি গোষ্ঠীগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে ডানপন্থি এবং জনপ্রিয়তা পাওয়া দলগুলো লাভবান হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ক্যাম্পেইন চলছে, নির্বাচনি প্রচারণায় হস্তক্ষেপ এবং বিভিন্ন মতবাদকে যেমন এএফডি ও বিএসডাব্লিওকে অর্থায়ন করা হচ্ছে, যারা বলছে যে, আমরা নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
পুতিনের এই কৌশল ঠেকাতে সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছুই করতে হবে বলে জানান তিনি।
মস্কোর পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে কোনো হুমকি না থাকলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বলে সতর্ক করেছেন যে, রাশিয়াকে ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতে পারেন পুতিন। এর ফলে দেশটি ন্যাটোর সদস্যদের উপর হামলা চালানোর সক্ষমতা লাভ করবে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, আগামী কয়েক বছরে ন্যাটে ভূখণ্ডের বিভিন্ন জায়গার দিকে এগিয়ে এসে সামরিক জোটটি কতটা জোটবদ্ধ তা-ও পরখ করার চেষ্টা করতে পারেন পুতিন।
তিনি জানান, ইউক্রেনে পুরোদমে হামলা চালানোর পর পুতিন রাশিয়াকে যুদ্ধ-অর্থনীতিতে পরিণত করেছেন। এসময়ে প্রতিমাসে রাশিয়া যেই পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদন করছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবদেশ এক বছরে উৎপাদন করে থাকে।