রোজ এক কোয়া রসুন, বদলে দেবে দেহ-মন!

গৃহস্থ বাড়ির প্রত্যেক রান্নাঘরেই রসুন মজুত থাকে। এটা যেকোনো আমিষ খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে দেয়। কিন্তু কিছু লোক উপকার পাওয়ার জন্য রসুন কাঁচাই খেয়ে থাকেন। এতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-সি, ফাইবার, প্রোটিন ও ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টিকর উপাদান। আপনি কি জানেন প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খেলে আপনি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক উপকার পেতে পারেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনের কোয়ার প্রতিটি অংশকে লবঙ্গ বলা হয়। একটি রসুনে প্রায় ১০-২০টি লবঙ্গ থাকে। খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক কোয়া রসুন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
হজম শক্তি বাড়ায় ও অ্যাসিডিটি কমায়
প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খাওয়া গ্যাস্ট্রিক জুসের পিএইচ উন্নত করে এবং হজমের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পুরনো রসুনের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক মিউকোসাল আস্তরণ নিরাময়ে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলো অন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের পরজীবী ও মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণকে মেরে ফেলে। রসুনের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগগুলি কোলাইটিস, আলসার ও অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সংক্রান্ত রোগ কমাতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ ও রক্তজমাট বাঁধা কম করে
রক্তচাপ কমাতে রসুন খুবই উপকারী কারণ এটি নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং এইচ২এস-এর মতো ভাসোডিলেটিং এজেন্ট উভয়ের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। উপরন্তু, এটি ভ্যাসকনস্ট্রিকশন এজেন্ট উৎপাদন হ্রাস করে।
কোলেস্টেরল কমায়
রসুনের ঘনত্ব রক্তনালীতে এলডিএল কোলেস্টেরল অক্সিডেশন এবং প্লাক প্রতিরোধ করে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কিডনি রোগে সহায়ক
এলিসিন নামের যৌগিক পাওয়া যায় রসুনে। এটা কিডনির শিথিলতা, রক্তচাপ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। এটিতে অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নেফ্রোপ্রোটেক্টিভ প্রভাব রয়েছে।
ইমিউনিটি ভালো করে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, যা অ্যালিসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফারযুক্ত যৌগগুলোর কারণে হতে পারে।
প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল
বিভিন্ন সময়ে কয়েক শতাব্দী ধরে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়তে রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত রসুন খাওয়া সাধারণ সর্দি, ফ্লু, পেটের সংক্রমণ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ও ইউটিআই প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
সতর্কতা
রসুন ব্যবহার করার সময় মনে রাখবেন যে এটি খাওয়ার আগে, এটি কেটে থেঁতো করে অন্তত ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এটি করলে এতে উপস্থিত অ্যালিসিন বৈশিষ্ট্যগুলো আরও বাড়বে। এটি একটি যৌগ যা অনেক স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য দায়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *