এসব বিষয় মাথায় রেখে রঙ বাংলাদেশ এবং কে ক্র্যাফট নিয়ে এসেছে বর্ণিল সব পোশাক।
বসন্ত উৎসবে রঙ বাংলাদেশ
বিভিন্ন দিবসে বিষয়বস্তু ধরে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। এবার ফাগুন ও ভালোবাসা দিবসে তারা বেছে নিয়েছে ‘আমেরিকান নেটিভ পটারি’ বা আমেরিকান আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভিন্ন নকশাকে।
যা সেই অঞ্চলে মূলত মৃৎশিল্পের নকশা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বিজ্ঞাপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্যতিক্রমী নকশার পাশাপাশি কাপড়েও আছে বৈচিত্র্য। হালফ সিল্ক, সুতি, জ্যাকার্ট কটন, মারসালাইস কটন এবং স্লাব ভিস্কাস কাপড়ে কমলা, গাঢ় হলুদ, হাল্কা হলুদ, অলিভ আর সাদা রংয়ের ব্যবহার রয়েছে।
পাশাপাশি করা হয়েছে আরাম, টেকসই ও নকশার সমন্বয়।
এছাড়া তাদের ‘সাবব্র্যান্ড’ ওয়েস্ট রঙ এবং রঙ জুনিয়র’য়ের পোশাকেও রয়েছে বসন্তের আমেজ।
রয়েছে শাড়ি, থ্রিপিস, সিঙ্গেল কামিজ, টপস, রেডি ব্লাউজ, সিঙ্গেল ওড়না, আনস্টিচড থ্রি-পিস, টিউনিক, স্কার্ট, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, পায়জামা, মগসহ অন্যান্য সামগ্রী।
শিশুদের জন্য আছে- পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ফ্রক, ড্রেস, স্কার্ট। আরও আছে পরিবারের সবার জন্যে একই ধরনের মিলিত আয়োজন।
তাদরে সকল বিক্রয়কেন্দ্র, ওয়েবসাইটন ও ফেইসবুক থেকে সংগ্রহণ করা যাবে এসব পোশাক।
বসন্তে ভালোবাসায় কে ক্র্যাফট’য়ের আয়োজন
পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস- দুটি দিন একই দিনে হওয়াতে সমসাময়িক মোটিফ এবং প্রিন্টের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে বাছাই করা ডিজাইন, প্যাটার্ন এবং রং।
শীতের শেষে প্রকৃতিতে মিষ্টি ফাল্গুনের হাওয়া যেমন থাকে তেমনি সঙ্গে হালকা গরমেরও ছোঁয়া থাকে। তাই এ সময় সুতি কাপড়ই প্রাধান্য পেয়েছে তাদের আয়োজনে- জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
দিনে পোশাক নির্বাচনে সুতির পোশাক সবচেয়ে উপযোগী হবে৷ তাছাড়া সন্ধার পর সুতির পাশপাশি জর্জেট, সিল্ক অথবা হাফ সিল্কের পোশাক বেছে নেওয়া যেতে পারে।
নকশা ফুটিয়ে তুলতে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং টাই-ডাই মাধ্যমের ব্যবহার হয়েছে।
হলুদ ও কমলার পাশাপাশি পোশাকের ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে- লাল, ম্যাজেন্টা, অফ-হওয়াইট, মেরি গোল্ড, পার্পল, ভায়োলেট, ল্যাভেন্ডার, স্যাল্মন রেড, পিচ, ব্রিক রেড, নীল, ফরেস্ট গ্রিন ইত্যাদি নানান রঙ।
ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে দেশীয় ঐতিহ্যের সাথে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে ফিউশনধর্মী নানান পোশাক।
ফ্লোরাল, আলাম, এথনিক, ট্র্যাডিশনাল, জামদানি, ইক্কত, পেইসলে, জ্যামিতিক- ইত্যাদি নানা মোটিফে তৈরি করা পোশাক সারিতে রয়েছে – শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, গাউন, কাফটান, টিউনিক, টপস-স্কার্ট, ছেলেদের জন্য রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবি, শার্ট, কটি। শিশুদের জন্য নানা আয়োজন তো থাকছেই।
পারিবারিক ও যুগলদের জন্য রয়েছে মেলানো পোশাক।
এছাড়া অনুষঙ্গ হিসেবে থাকছে গয়না, নানা উপহার সামগ্রী, ঘর সাজানোর পণ্য, স্যান্ডেল ইত্যাদি।
তাদের বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ওয়েবসাইট এবং ফেইসবুক থেকেও সংগ্রহ করা যাবে এসব আয়োজন।