জনতার কণ্ঠ ডেস্ক: করোনা চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার দুটি ওষুধ ব্যবহারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন দিতে যাচ্ছে ভারত প্রতিষ্ঠান মার্কের মলনুপিরাভির ট্যাবলেট শিগগিরই অনুমোদন পাবে। ভাবা হচ্ছে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেটের কথাও। তবে সেটির অনুমোদন দিতে কিছুটা সময় লাগবে। গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভারতের কোভিড স্ট্র্যাটেজি গ্রুপ-সিএসআইআরের চেয়ারম্যান রাম বিশ্বকর্মা।
এ মুহূর্তে করোনার ভয়াবহতা রোধে টিকাদানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী দিনগুলোতে টিকার চেয়ে মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট বেশি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন রাম বিশ্বকর্মা। তিনি জানান, মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট পরিস্থিতি বদলে দিব
করোনা চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ভাইরাসটির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকিয়ে দেওয়া গেছে বলে মনে করছেন সিএসআইআর প্রধান। তিনি আশ্বাস দেন, ‘আমি মনে করি, মলনুপিরাভির আমাদের হাতের নাগালে আসতে যাচ্ছে। ওষুধটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির কথা চলছে। আমার ধারণা, যেকোনো দিন মলনুপিরাভিরের অনুমোদন পাব।’
এদিকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ফাইজার বলছে, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমায় তাদের প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেট। মুখে খাওয়ার এ ট্যাবলেট নিয়েও কথা বলেন রাম বিশ্বকর্মা। তিনি জানান, মার্কের সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানি যোগাযোগ করছে। ওষুধটি উৎপাদনের জন্য তারা বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছে, ফাইজারও এমনটি করবে। কারণ, ওষুধটি উৎপাদন করতে ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে তাদের।
করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধগুলো ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন রাম বিশ্বকর্মা। তিনি জানান, প্রথম দিকে মলনুপিরাভিরের মাধ্যমে করোনার চিকিৎসায় খরচ হবে দুই হাজার থেকে চার হাজার রুপি। পরে দাম কমে ৫০০ থেকে ১ হাজার রুপিতে নেমে আসবে।