শেখ হাসিনা পালানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়েরও সব পালিয়ে গেছে

বিশেষ প্রতিনিধি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা পালানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়েরও সব পালিয়ে গেছে। ওরা চেয়ারের তোয়ালে পর্যন্ত নিয়ে গেছে। অনেক কষ্ট করে রাতভর কাজ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গতি নিয়ে এসেছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হবে। চালু করা হবে বাধ্যতামূলক ট্রেড কোর্স।’
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কোটাসংস্কার আন্দোলনের সময় আকাশ থেকে গুলি করে ছেলে-মেয়েদের মারা হয়েছে দাবি করে ভিসি বলেন, ‘তাদের কী অপরাধ ছিলো যে, তাদের গুলি করে মেরে ফেলতে হবে? ক্ষমতার জন্য তারা এতকিছু করল, কিন্তু ক্ষমতায়ও টিকতে পারলো না। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ৩০০ এমপি পালালো। এমনকি বায়তুল মোকারমের খতিবও পালিয়েছে। এসব নিয়ে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।’
ভিসি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে গভর্নিং বডির সভাপতি পদ তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। কারিকুলামে পরিবর্তন এনে শিক্ষাকে যুগপোযোগী করা হবে। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও চালু করা হয়েছে।’
কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাছ খানের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মাযহারুল ইসলাম এবং গোলাপ মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নেত্রকোনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. খন্দকার আশারাফুল মুবিন, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েদ উদ্দিন আহমেদ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, জীন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্টার জামিল আহমদ, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খন্দকার মো. আব্দুল ওয়াহিদ সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহনাজ ফেরদৌস ও কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *