সবাই ভেবেছিল মারা গেছি: আমিশা পাটেল

বিনোদন ডেস্ক: ‘গদর ২’ সিনেমার একটি দৃশ্যে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আমিশা প্যাটেল। দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান হয়ে থাকার ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি মারা গেছেন। কিন্তু কী এমন হয়েছিল সিনেমার সেটে?
নব্বই দশকের মানুষদের কাছে ‘গদর’ সিনেমা মানেই নস্টালজিয়া। সিনেমাটির সাফল্যের দীর্ঘ অনেক বছর পর ২০২৩ সালে মুক্তি পায় এর সিক্যুয়েল ‘গদর ২’। অনেক বছর পর সাকিনা এবং তারা সিংয়ের সেই প্রেম দেখতে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিলেন দর্শকরা। সিনেমাও ব্যবসা করে বাম্পার। তবে এই আইকনিক ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে রীতিমতো জীবন নিয়ে টানাটানি পড়ে যায় আমিশা পাটেলের।
একটি দৃশ্যে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আমিশা। দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান হয়ে থাকার ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি মারা গেছেন। এমনটা জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আমিশা বলেন, ‘একটি সিনে আমাকে কিছুক্ষণ পানির মধ্যে থাকতে হতো। আমি পরিচালককে বারবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম পানি গরম আছে কিনা। অনিল জি আমাকে বলেছিলেন, পানি গরম থাকবে আমি যেন চিন্তা না করি। কিন্তু যখন শট দিতে গিয়েছিলাম তখন দেখি পানি একদম কনকনে ঠান্ডা।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি একটি পাতলা সালোয়ার কামিজ পরেছিলাম। প্রথম যখন আমার ওপর পানি ঢালা হয় তখন আমি রীতিমতো কেঁপে উঠেছিলাম কারণ পানি ছিল ঠান্ডা বরফ। ঠান্ডা পানি নিয়েই গোটা শ্যুট হয়, ততক্ষণে আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।’
‘শ্যুট শেষ হওয়ার পর আমার সহকর্মীরা আমাকে ব্র্যান্ডি দেয়, আমার পা ঘষে দেয় কিন্তু আমার তখন সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। সবাই অনেক চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষণে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমাকে তড়িঘড়ি মেকআপ ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রায় চার ঘন্টা আমার জ্ঞান ছিল না। সবাই প্রায় ভেবেছিল আমি আর বাঁচবো না’।- যোগ করেন আমিশা।
আমিশা আরও বলেন, ৪ ঘন্টা পর যখন আমি চোখ মেলে তাকিয়ে ছিলাম তখন দেখি সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। বুঝতে পারি আমাকে নিয়ে ভীষণ টেনশনে ছিল সকলে। কিন্তু এই চার ঘন্টায় ঠিক কী হয়েছিল আমার মনে নেই।
সানি দেওল প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, আমার অসুস্থতার সময় সানি স্যার আমাকে ভীষণ সাহায্য করেছিলেন। ব্লাড প্রেশার মেশিন নিয়ে এসে রক্তচাপ মাপেন, থার্মোমিটার নিয়ে এসে জ্বর মাপেন আমার। তড়িঘড়ি চিকিৎসকের ডেকে নিয়ে আসেন। ততক্ষণে যদিও স্থানীয় একজন চিকিৎসক এসেছিলেন, কিন্তু তিনি ইনজেকশন দিতে ভয় পাচ্ছিলেন কারণ আমি বমি করেছিলাম বারবার। সানি চাননি কোনও ভুল পদক্ষেপ নেওয়া হোক তাই তিনি তার পরিচিত চিকিৎসককে ডেকে নিয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, ‘গদর ২’ বক্স অফিসে প্রায় ৫০০ কোটির বেশি আয় করেছিল। ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের মধ্যে অন্যতম ছিল এই সিনেমাটি। যদিও শুরু আয়ের দিক থেকে নয়, জনপ্রিয়তার দিক থেকেও এই সিনেমাটি এগিয়েছিল অনেকটাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *