ভ্রমণে যাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া, ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ নেওয়া জরুরি। আর বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরও বেশি সাবধান হওয়ার প্রয়োজন।
আকাশে ওড়ার আগে
এতে ফোনে কোনো কারণে চার্জ না থাকলেও যাবতীয় তথ্য সহজে হাতের মুঠোতে থাকবে।
‘হার্ভার্ড অ্যাফিলিয়েটেড বেথ ইসরায়েল ডিকোনেস হসপিটাল’য়ের এই চিকিৎসক বলেন, “সব প্রেসক্রিপশন, ওষুধ হাতের ব্যাগে রাখুন- যাতে প্রয়োজনে সহজেই নেওয়া যায়। অতিরিক্ত ওষুধ নিতে ভোলা যাবে না।”
বিমান বন্দরে পুরো শরীর পরখ করার নানান ধরনের নিরাপত্তা-যন্ত্র থাকে। ‘পেসমেকার’ বা এই ধরনের যন্ত্র শরীরে থাকলেও সেক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। তবে এই ধরনের নিরাপত্তা-পরীক্ষার যন্ত্রের অ্যালার্ম বেজে উঠতে পারে।
“তাই এই ধরনের যন্ত্র যে দেহে বসানো আছে, সেসবের প্রমাণপত্রও সাথে রাখতে হবে”- পরামর্শ দেন ডা. মিন্টস।
ডা. মিন্টস বলেন, “বিমানে নানান ধরনের খাবার দেওয়া হয়। অবশ্যই অ্যালকোহল ধরনের পানীয় এড়াতে হবে। কারণ এসব পান করলে বুক ধড়ফড় করার সমস্যা দেখা দেবে। অসুস্থ করে ফেলবে। রক্তচাপ বাড়াবে। আর আকাশে থাকা অবস্থায় এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়া বিপজ্জনক।”
এছাড়া বিমানের ভেতর বাতাসের চাপ কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অ্যালকোহল গ্রহণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকাদের অক্সিজেনের মাত্রা ও রক্তচাপ কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
তাই পান করতে হবে পর্যাপ্ত পানি। বিমান যাত্রা দীর্ঘ হলে, ভেতরেই কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে হবে যাতে পা থেকে মাথা পর্যন্ত রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে। এত পা ফোলার সমস্যাও রোধ হবে।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর
বেড়াতে গিয়ে অতিমাত্রায় শারীরিক কর্মকাণ্ড বা হাঁটাহাঁটি করতে হবে বা ভ্রমণের জায়গাটা যদি বেশি উঁচুতে হয় তবে প্রথমদিনই চাপ নেওয়া যাবে না।
ডা. মিন্টস বলেন, “উঁচু জায়গাতে ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে, সেখানে সমতলের চাইতে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকতে পারে। এজন্য দেহ ওই পরিবেশে খাপ খাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে রক্তচাপ ও হৃদগতি বাড়তে পারে।”
কম অক্সিজেন পূর্ণ এলাকায় মানিয়ে নিতে দেহের কয়েক দিন লাগে। সাধারণ নিয়ম অনুসারে, প্রথম দিনেই ৮ হাজার ফিটের ওপরের জায়গায় যাওয়া যাবে না। আর খাপ খাওয়াতে দেহকে সময় দিতে হবে।
যাদের হৃদরোগ থাকলেও অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে, তাদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রে ১২ হাজার ফুট পর্যন্ত ওঠা কোনো সমস্যা হিসেবে ধরা হয় না।