১৮০০ রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে মাত্র ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট দিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করা হলে রাস্তায় কাফনের কাপড় পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করার হুমকি দিয়েছে জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত হোটেল শেরাটনে বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট আয়োজিত ‘স্বল্প ব্যয়ে মর্যাদাপূর্ণ সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এই হুশিয়ারি দেন বায়রার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার।
তিনি বলেন, তথাকথিত ২৫ সিন্ডিকেট পূর্বের ন্যায় শ্রমিকদের কাছ থেকে আবারও ৩/৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে চায় এবং আমাদের ১৬০০ এজেন্সির রিজিক হরণ করে দেশের সুনাম নষ্ট করতে চায় তারা শ্রম বাজার বন্ধ করার পায়তারা করছে।
সিন্ডিকেটের অপতৎপরতার কারণেই মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার এখনো চালু হচ্ছে না দাবি করেন তিনি।
মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, আমরা চাই মালয়েশিয়ার বাজার আগের মতো যেন বন্ধ না হয়। আমরা যেন সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কাজ করার সুযোগ পাই। মাহাথির মোহাম্মদ সরকার গঠন করে দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। দুর্নীতি যে হয়েছে সেটা সে দেশের সরকার স্বীকার করেছে। সে দেশের সরকার স্বীকার করেছে যে কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, যদি আবার সিন্ডিকেট করা হয় তাহলে কি দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব? কারণ একটি চক্র তো টাকা নিয়েছে। সেই টাকা তো তাদের তুলতে হবে।
বায়রার সাবেক সভাপতি বলেন, সরকার যদি আমাদের সুযোগ দেয় তাহলে সরকার নির্ধারিত ফিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাব। এক লাখ ২০ হাজার টাকায় আমরা কর্মী পাঠাব মালয়েশিয়ায়।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান, বায়রার সাবেক সভাপতি নূর আলী, সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড.তাসনীম সিদ্দিকী, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সি আর আবরার ওয়ারবির চেয়ারপারসন সৈয়দ সাইফুল হক, অভিবাসন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সদস্য এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ, সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী, অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় সংসদের মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার প্রমুখ।