সৌদি আরবের এক ইঞ্জিনিয়ার কিউবায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ২১ বছর পর ছাড়া পেয়েছেন। ওই ইঞ্জিনিয়ারের নাম আল সারাবি। আল জাজিরার খবর অনুসারে, আল সারাবির বর্তমানে বয়স ৪৮ বছর। যখন তাকে গুয়ানতানামো বে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন ২৮ বছরের যুবক ছিলেন তিনি।
মার্কিন প্রশাসন দীর্ঘ ২০ বছর আল সারাবিকে আটকে রাখলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ আনতে পারেনি
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ২০০১ সালের টুইন টাওয়ার হামলার পর আল সারাবি পাকিস্তানে পালিয়ে যান। সেখানে বোম তৈরি করার প্রশিক্ষণ নেন তিনি। এর পরের বছর তাকে আটক করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর তাকে নির্জন গুয়ানতানামো বে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আল সারাবিসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ২০০৮ সালে ওই অভিযোগ আবার প্রত্যাহার করে নেয় দেশটি।
সৌদির নাগরিক আল সারাবিকে যুক্তরাষ্ট্র বিশেষভাবে টার্গেট করেছিল কারণ তিনি অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এছাড়া ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে (টুইন টাওয়ার) বিমান হামলার সঙ্গে জড়িত দুই বিমান ছিনতাইকারীর সঙ্গে একই স্কুলে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি রিভিও বোর্ড বিচার-বিশ্লেষণ করে আল সারাবির ব্যাপারে মতামত দেয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য তিনি এখন আর কোনো হুমকি নন। ফলে তাকে আটকে রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই।’ এরপর আল সারাবিকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে তাকে নজরদারির মধ্যে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
গুয়ানতানামো বে কারাগারে ২০০৩ সালে প্রায় ৬০০ জন বন্দী ছিলেন। আল সারাবি বের হয়ে যাওয়ার পর এখন ওই কুখ্যাত কারাগারটিতে আর মাত্র ৩১ জন রয়েছেন। গত মাসে দুই পাকিস্তানি ভাই এই একই কারাগার থেকে দীর্ঘ ২০ বছর পর বন্দিজীবন থেকে মুক্তি পান।