১৯ বস্তা টাকা গণনা করা হয়।
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে থেকে এবার ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার টাকা মিলেছে। যা নতুন রেকর্ড করেছে। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দানবাক্সগুলো খুলে মিলেছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা।
দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। দানবাক্সগুলো থেকে প্রথমে টাকা বের করে বস্তায় ভরা হয়।
আটটি দানবাক্স থেকে ১৯ বস্তা টাকা সংগ্রহ করে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। গণনার কাজে প্রায় ২০০ জনের ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। গণনা শেষে পাওয়া গেছে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার টাকা।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী রাত ৯টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২০ বস্তা টাকা। দিনভর গুনে দেখা গেছে, সেখানে জমা পড়েছিল ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপা। তখন অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ৩ মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলোতে।
টাকা গণনার সময় সিনিয়র সহাকরী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, কিশোরগঞ্জের পৌর মেয়র ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ মিয়া গণনার কাজ পরিদর্শন করেন।