কিডনি স্টোনের ব্যথা নাকি গ্যাসের ব্যথা?
ব্যথার ধরন ও তীব্রতা-
কিডনি স্টোন: এই ব্যথা হঠাৎ শুরু হয় এবং অনেক বেশি তীব্র ও ধারালো হয়। অনেকেই এটিকে ছুরি দিয়ে ভেতর থেকে আঘাত করার মতো বা চেপে ধরা ধরনের ব্যথা বলে বর্ণনা করেন। অনেক সময় এই ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে।
পিঠ বা গ্যাসের ব্যথা: এই ব্যথা সাধারণত মৃদু ও অব্যাহত থাকে। পেশির ব্যথা হলে সেটা নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় বেশি অনুভূত হয় বা বেড়ে যায়। গ্যাসের ব্যথা সাধারণত তীব্র নয় এবং সময়ের সঙ্গে কমে যায়।
ব্যথার অবস্থান ও গতি-
কিডনি স্টোন: ব্যথা সাধারণত পাঁজরের নিচে, পাশের দিকে শুরু হয় এবং পাথর মূত্রনালির মাধ্যমে নিচে নামলে তলপেট ও অণ্ডকোষ বা যৌনাঙ্গের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা অবস্থান বদলায়।
পিঠের ব্যথা: মাংসপেশির টান বা ব্যথা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে এবং অন্যদিকে সরে যায় না।
গ্যাসের ব্যথা: পেট বা উপরের পেটে অনুভূত হয় এবং খাদ্য হজম ও শরীরের অবস্থান অনুযায়ী স্থান বদল করতে পারে।
ব্যথার সঙ্গে থাকা অন্যান্য লক্ষণ-
কিডনি স্টোন:
* প্রস্রাবে রক্ত বা ঘোলা ভাব
* ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ
* প্রস্রাব করতে ব্যথা
* জ্বর বা ঠাণ্ডা লাগা
গ্যাসের ব্যথা-
* পেট ফাঁপা
* ঢেঁকুর
* গ্যাস বের হলে আরাম পাওয়া
পিঠের ব্যথা-
* মাংসপেশিতে জড়তা
* বসা বা শোয়ার সময় অবস্থান অনুযায়ী ব্যথা বাড়া বা কমা
চলাফেরা বা ভঙ্গিমার প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া
পিঠের ব্যথা: পজিশন বা শরীরের মুভমেন্ট অনুযায়ী ব্যথা কমে বা বাড়ে। যেমন— বাঁকা হয়ে বসলে বা হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে ব্যথা তীব্র হতে পারে।
গ্যাসের ব্যথা: হাঁটাহাঁটি বা বাথরুম ব্যবহারের পর কমে যেতে পারে।
কিডনি স্টোনের ব্যথা: এই ব্যথা সাধারণত চলাফেরা বা শোয়ার পরিবর্তনে কমে না। বরং রোগী অস্থিরভাবে চলাফেরা করলেও স্বস্তি পান না। ব্যথা ধারাবাহিক, তীব্র এবং নিঃসন্দেহে যন্ত্রণাদায়ক।