চলতি বছরের শীতের সময় নিপা ভাইরাস আক্রান্ত আটজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোবরার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক পর্যালোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানিয়েছেন।
খেজুর গাছের কাঁচা রস ও পাখিদের খাওয়া ফল খেলে নিপা ভাইরাস রোগ হয়। বাদুড় এ ভাইরাস বহন করে। বাদুড়ের পান করা খেজুরের রস যদি কোনো ব্যক্তি পান করলে তিনি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হবেন। অসুস্থ্য মানুষের সংস্পর্শে গেলেও দ্রুত এ ভাইরাস ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়। আক্রান্ত রোগীদের ৭০ শতাংশই মারা যায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভাইরাসটি থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি (সচেতনতামূলক ভিডিও) করেছি। সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি। নিপা ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন নেই। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এজন্য কাঁচা রস পান করা যাবে না। পাখিদের খাওয়া ফল কোনো খাওয়া যাবে না।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, মহাসচিব ও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. সাইদুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) সৈয়দ মজিবুল হক, পপুলার হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা।