জনতার কণ্ঠ প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় না এসে অন্য কোনো উপায়ে কেউ যদি সরকার গঠন করে, তাতে দেশে কখনো উন্নয়ন হয় না।
গণভবন থেকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও রাজউকের ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। অনির্বাচিত কাউকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না, এটি প্রমাণিত সত্য।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা মানুষকে একটি উন্নত জীবন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ‘৭৫-এর পর তা হয়নি। বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তন হয়েছে। স্বাধীন গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হয় তখন। সংবিধান অমান্য করে মার্শাল ল জারি, সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী। ২১ বছর এভাবে সরকার পরিচালিত হয়েছে। যারা উন্নয়নের যে গতি তা ব্যাহত হয়েছিল।
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে এখন এত উন্নয়ন হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭-০৮ সালের পর আমরা ক্ষমতায় আসি। আমরা রূপকল্প ২১ ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করি। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি এই ধারা না থাকত, তা হলে দেশ কিন্তু এত উন্নত হতে পারত না। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগের বাংলাদেশ, স্যাটেলাইট যুগের বাংলাদেশ। পরমাণু শক্তির সঙ্গেও যুক্ত হতে পেরেছি। আমরা পরমাণু বোমা বানাবো না, কিন্তু পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরি করছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছি। সারাবিশ্ব যখন অর্থনৈতিক মন্দায়, উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। করোনা অতিমারী, যুদ্ধ, স্যাংশন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যেন সেই হাওয়াটা না লাগে, সে জন্য ইতোমধ্যে আমরা নিজেদের খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছি এবং সবাইকে আহ্বান করেছি— এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না যায়।’