রমজানের আগেই খুচরা বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ডাবল সেঞ্চুরির পথে ব্রয়লার মুরগির কেজি। ১৫০-১৬০ টাকার ব্রয়লার মুরগির কেজি হঠাৎ একলাফে ৩০-৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। বেড়েছে ডিমের দামও। লাল ডিমের ডজন দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে ১৫ টাকার মত। দুদিন আগে ১২ কেজির এলপিজির সিলিন্ডার একলাফে বেড়েছে প্রায় ৩০০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তারা। সংসারের খরচের ফর্দে কাটছাঁট করেও হিমশিম খাচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ।
কাওরানবাজারের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এখন ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা, খাবার, ওষুধ সবকিছুর দাম বেশি। যে কারণে খামারিরা শেডে মুরগির বাচ্চা তুলছে না।
খামারিদের আশঙ্কা, যে টাকা তারা খামারে মুরগির পেছনে দেবেন, সে টাকা বাজার পড়তির দিকে থাকলে আর উঠে আসবে না। যে কারণে বাজারে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়ে ব্রয়লারের দাম বাড়ছে। তিনি আরও জানান, খামার থেকে আড়তে সরবরাহ কমে গেছে। খাবারের দাম বাড়ায় সামনে আরও বাড়তে পারে দাম।
সোনালি মুরগির দাম কেজিতে আরও একশ টাকা বেশি। ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা দরেই বিক্রি হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। ডিম পাড়া শেষ হলে কেজিদরে বিক্রি করে দেয়া লেয়ারের সরবরাহও কমে গেছে।
এদিকে বেড়েছে গরু-খাসির মাংসের দামও। কারওয়ান বাজার ও মিরপুরের দুটি বাজারে গরুর মাংস ২০ থেকে ৫০ টাকা এবং খাসির মাংসের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৭০০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও ১ হাজার টাকা।
আমদানিকৃত আদা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়, আমদানি করা রসুনের কেজি ঠেকছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। দেশি আদা-রসুন অবশ্য কিছুটা কম দামে মিলছে। প্রতি কেজি আদা মানভেদে ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। রসুনের দর ছিল ১৫০-১৮০ টাকা।