বিয়ের সাজপোশাকের খুঁটিনাটি জানতেও উদ্‌গ্রীব তাঁদের ভক্তকুল

বলিউড জুটি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার গাঁটছড়া বাঁধার বহুল প্রতীক্ষিত ছবিগুলো এখন সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। বিয়ের সাজপোশাকের খুঁটিনাটি জানতেও উদ্‌গ্রীব তাঁদের ভক্তকুল।
সবার অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেখা গেল বর-বধূর বেশে বলিউডের আলোচিত জুটি সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার সাজপোশাকের কিছু ঝলক। দিনের আলোয় ভারতের রাজস্থানে জয়সালমিরের সূর্যগড় প্রাসাদের নয়নাভিরাম আবহের সঙ্গে মিল রেখে নরম টোনের প্যাস্টেল শেডেই সেজেছেন তাঁরা। আর পোশাকের ডিজাইনার হিসেবে বলিউড-ফেভারিট মনীশ মালহোত্রাই তাঁদের পছন্দ।
কিয়ারা আদভানি মানেই যেন স্নিগ্ধতার পরশ। তাঁর বিয়ের দিনের লুকেও জমকালো ভাব ছাপিয়ে স্নিগ্ধ আমেজই চোখে পড়ছে সবার। গোলাপের পাপড়ির গোলাপি শেডের অমব্রে লেহেঙ্গার সঙ্গে সুইটহার্ট নেকলাইনের ম্যাচিং ব্লাউজ। নরম গোলাপি আভার স্বচ্ছ ওড়নার জমকালো ঢেউখেলানো বর্ডারটিতে সোনালি আর গাঢ় গোলাপির কাজ। স্লিক ও টান টান করে বাঁধা চুলের খোঁপাজুড়ে গাঢ় গোলাপি সতেজ গোলাপের থোকা চোখে পড়ছে ওড়নার ভেতর থেকে। মেকআপে কিয়ারাসুলভ মিনিমাল ও ন্যাচারাল লুক। হালকা গোলাপি লিপকালার ঠোঁটে। মেহেদির নকশাও হালকা। তবে মনীশ মালহোত্রার এই বর্ণাঢ্য আউটফিটের সঙ্গে সঙ্গে চোখ ধাঁধিয়েছে হীরা ও পান্নার মিশেলে অপূর্ব নকশার গয়না। টিকলি, কানের ঝোলানো দুল, গলার চোকার ঘরানার জমকালো হার আর হাতের চুড়ি—সবকিছুতেই ডিজাইনার মনীশ রেখেছেন আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের দারুণ মিশেল। এতে ব্যবহৃত হীরাগুলো বিশেষভাবে হাতে কাটা আর বিশাল পান্নাগুলো জাম্বিয়া থেকে আনা। লেহেঙ্গার চোখজুড়ানো সূক্ষ্ম কারুকাজে রোমান স্থাপত্যের অনুপ্রেরণা। আর খোদ মনীশই জানালেন, পোশাকজুড়ে ব্যবহার করা হয়েছে সোয়ারভস্কি ক্রিস্টাল।
বরবেশে সুদর্শন সিদ্ধার্থও নজর কেড়েছেন সমানে সমান। সূক্ষ্ম কাজের সোনালি শেডের শেরওয়ানির সঙ্গে সিড পরেছেন ম্যাচিং পায়জামা আর দারুণ এক পাগড়ি। আইভরি এমব্রয়ডারি, সোনারঙের জারদৌজি আর তারের ‘বাদলা’ কাজ রয়েছে শেরওয়ানিতে৷ সোনার পাতের ওপরে আনকাট হীরা বসানো পোলকি ঘরানার হার ও ব্রেসলেট পরেছেন সিদ্ধার্থ। পাগড়িতেও একই ডিজাইনের একটি নকশাদার পিস বসিয়েছেন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রা।
দুজনের গলার সাদা মালা দুটো মানিয়ে গেছে পুরো আবহ ও সাজের সঙ্গে। সব মিলিয়ে হাস্যোজ্জ্বল আর একে অপরের প্রেমে দৃশ্যত হাবুডুবু খাওয়া কিয়ারা-সিদ্ধার্থকে মনে হচ্ছে রূপকথার গল্পের কোনো রাজযোটক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *