দুই যুগ পর কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় এসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে হাওরবাসীর কাছে নৌকায় ভোট দেয়ার ওয়াদাও আদায় করে নেন তিনি। আঞ্চলিক ভাষায় স্লোগান দিয়ে তিনি বলেন, নৌকা বাইয়া দে, নৌকা বাইয়া দে। তিনি বলেন, অতীতে আপনারা নৌকার পাশে ছিলেন আমরা আপনাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছি। আগামীতে একমাত্র নৌকা মার্কা সরকার আসলে আপনাদের উন্নতি হবে, দেশের উন্নতি হবে। এই হাওর অঞ্চলে আমরা যে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছি, তা অব্যাহত থাকবে। নৌকা মানেই উন্নয়ন। গতকাল কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার হেলিপ্যাড মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে। সেই সম্পদ বিদেশে পাচার করে এখন আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে।
আর দেশের মানুষ যখন কষ্ট পায়, তখন তারা আরও কষ্ট দেয়। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে।
যারা বোমা মেরে, আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যা করতে পারে তারা কখনো মানুষের কল্যাণ করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত বা ২০ দলীয় জোট যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, ফসল উৎপাদন বাড়ে, মাছ উৎপাদন বাড়ে, তরিতরকারি-ফলফুল উৎপাদন বাড়ে, মানুষ খেয়ে পরে সুখে থাকে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৪ বছরে আজকের বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আপনাদের কাছে আমার আহ্বান নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন। আবদুল হামিদ তখন ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এ বছরের শেষে বা আগামী বছরে শুরুতে নির্বাচন হবে।
সেই নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আপনাদের কাছে এই আবেদন জানাই। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, দুই হাত তুলে ওয়াদা করুন আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। এ সময় উপস্থিত জনতা দুই হাত তুলে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সমাবেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমার কোনো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। মা, বাবা, ভাই সব হারিয়েছি। আমি নিঃস্ব, রিক্ত। এ দেশের মানুষকে আমার বাবা ভালোবেসেছিলেন, তিনি তার জীবন দিয়ে গেছেন। জীবন দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা। আজকে আমি আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। মঞ্চে উপস্থিত রাষ্ট্রপতির ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে দেখিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গত নির্বাচনে রাষ্ট্রপতির ছেলেকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের প্রতি কতৃজ্ঞতা জানাই। আগামীতেও একমাত্র নৌকা মার্কা সরকারে এলে আপনাদের উন্নতি হবে, দেশের উন্নতি হবে।
এই হাওর অঞ্চলের উন্নয়নে যে সার্বিক কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করছি, সেগুলো বাস্তবায়িত হবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্টের ছোট ভাই শিক্ষাবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. আবদুল হক নূরু। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং প্রেসিডেন্টপুত্র ও কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভীন খানম মনি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম এ আফজল প্রমুখসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সুধী সমাবেশ পরিণত হলো জনসভায়
দীর্ঘ দুই যুগ পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিঠামইন সফরকে ঘিরে উচ্ছ্বাস-আনন্দে ভাসছিলেন হাওর এলাকার মানুষ। কেবল হাওরের তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম নয় জেলা শহরসহ জেলার ১৩টি উপজেলাতেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। ফলে গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সুধী সমাবেশকে ঘিরে আগেরদিন সোমবার থেকেই জনস্রোত ছিল মিঠামইনমুখী। সড়কপথ ছাড়াও নৌপথে অসংখ্য মানুষ আগের রাতেই সমাবেশস্থলের আশপাশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাতে হাওরের বিভিন্ন এলাকায় খোলা আকাশের নিচে তারা রাত কাটান। ফলে সমাবেশ শুরু হওয়ার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে দুপুর ১২টার মধ্যে হেলিপ্যাড মাঠের সভাস্থল লাখো মানুষের জমায়েতে পরিণত হয়। সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মানুষ পার্শ্ববর্তী সড়কসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনেন। এরপরও সমাবেশ অভিমুখে ঢল নামে দলীয় নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের। মিছিল-স্লোগান আর লাখো মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে হেলিপ্যাড মাঠ এলাকা।
ভয় পাবেন না ধৈর্য ধরুন: ওবায়দুল কাদের
আগামী নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এদের মতিগতি কিন্তু খারাপ। খেলা হবে। হবে খেলা? কী করে খেলবো? বিএনপি তো জানে নির্বাচনে এলে জামানত থাকবে না। বড় খারাপ অবস্থা, পথ হারিয়ে পদযাত্রা। কী খেলবে এরা? আন্দোলনে হেরে গেছে। নির্বাচনে খেলতে চান, খেলা হবে। আমরা প্রস্তুত। হাওরের মানুষ শেখ হাসিনা ও নৌকার পাশে আছে। এদের হাতে ভাঙচুরের লাঠি। শপথ নিতে হবে অগ্নি সন্ত্রাস করতে এলে আমরা যে হাতে আগুন দেবে, সেই হাত পুড়িয়ে দেবো। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তৈরি আছেন তো? বুকের পাটা আছে তো? মনের জোর আছে তো? খেলা হবে। তিনি বলেন, ভয় পাবেন না, ধৈর্য ধরুন। শেখ হাসিনার প্রতি আপনারা আস্থা রাখুন। বঙ্গবন্ধুকন্যা দিনরাত পরিশ্রম করেন, রাতের বেলাও তিনি জেগে থাকেন আপনাদেরকে বাঁচানোর জন্য। এই যুদ্ধের কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে, শেখ হাসিনা জেগে থাকেন দ্রব্যমূল্য সামাল দেয়ার জন্য। শেখ হাসিনা জেগে থাকেন মানুষ যাতে ভালো থাকে। তিনি বলেন, ১৪ বছরে সারা কিশোরগঞ্জ বদলে গেছে, বাংলাদেশ বদলে গেছে। এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা। এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একজন এসেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজন শেখ হাসিনা মুক্তির জন্য।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে গতকাল সকাল ১১টার দিকে মিঠামইনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসে অবতরণ করেন। সেখানে তিনি রাষ্ট্রীয় অভিবাদন গ্রহণের পর বেলা ১১টা ২২ মিনিটে মিঠামইন উপজেলা সদরের ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের নামে নবনির্মিত এ সেনানিবাস উদ্বোধন করেন। তিনি সেখানে একটি আমগাছের চারা রোপণ করেন। এ ছাড়া কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পর সেনানিবাসে ৪টি ইউনিট এবং এসএসডি জাজিরা-এর পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ইউনিটগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে জাতীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তাসহ হাওরাঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ৩৫০ কোটি ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৭৫ একর জায়গায় আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো হাওরের বুকে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান, সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার ঘাটাইল এরিয়া মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক নবনির্মিত ইউনিটসমূহের পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি ইতিমধ্যেই জমি ভরাট না করে হাওর, বিল ও জলাভূমি এলাকার প্রতিটি রাস্তা এলিভেটেড করার নির্দেশনা দিয়েছি। বর্ষা মৌসুমে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের চলাচল যেন বাধাগ্রস্ত না হয় এবং নৌকাসহ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ব্যাহত না হয়- সেজন্য সকল সড়ক এলিভেটেড করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর হতে এ এলাকা থেকে বার বার নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি এখানে একটি সেনানিবাস স্থাপনের ইচ্ছা করেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী- আমরা এই সেনানিবাস স্থাপন করেছি। প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, আবদুল হামিদ ডেপুটি লিডার, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার এবং শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির মতো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি যে পদেই ছিলেন- সেখানেই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি তার টানা দ্বিতীয় মেয়াদেও সফলভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই, আমরা তার নামে সেনানিবাসের নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অতিথি হয়ে প্রেসিডেন্টের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস এর উদ্বোধন ও পতাকা উত্তোলন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সেনানিবাস থেকে হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রেসিডেন্টের কামালপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। প্রেসিডেন্ট, ফার্স্টলেডি রাশিদা হামিদ ও প্রেসিডেন্টের ছোট বোন মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আছিয়া আলম প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে প্রেসিডেন্ট পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী জোহরের নামাজ আদায় করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীগণ মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়নের জন্য মধ্যাহ্নভোজে ১৫ পদের মাছসহ মোট ১৯ পদের খাবারের আয়োজন করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাবারের তালিকায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাতা বোরো চালের সাদা ভাত, রুই, কাতল, চিতল, আইড়, পাবদা, গোলসা টেংরা ও কালিবাউশ এই সাত পদ মাছের দোপেঁয়াজা, শোল, বাইম, চিংড়ি, বোয়াল, গ্রাস কার্প ও বাছা এই ছয় পদ মাছের ভুনা, রিটা ও পাঙ্গাশ এই দুই পদ মাছের মাখা মাখা ঝোল এবং মসুর ডাল। এ ছাড়া ছিল সালাদ ও রসমালাই।
এর আগে নিজ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে উপলক্ষ্য করে আগের দিন সোমবার বিকালে পাঁচদিনের সফরে মিঠামইনে যান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। তবে মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি চলাকালে প্রেসিডেন্ট কামালপুর গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করেন। সুধী সমাবেশ শেষে বিকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে মিঠামইন ছেড়ে যান। অন্যদিকে পাঁচদিনের সফরে প্রেসিডেন্ট কামালপুর গ্রামের বাড়ি থেকে আজ করিমগঞ্জ হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে যাবেন। সেখান থেকে শুক্রবার (৩রা মার্চ) বিকালে তিনি হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ ছেড়ে যাবেন।