নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় চীন থেকে আনা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রেলকোচগুলো কমিশনিং (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) কাজ চলছে। আগামী ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক যাত্রীবাহী ১০টি কোচের একটি র্যাক (ট্রেন বহর) চালানো হবে। ইতোমধ্যে সৈয়দপুর থেকে এই র্যাকটি ঈশ্বরদী পর্যন্ত পরীক্ষামূলক রান সম্পন্ন করে সফলভাবে সৈয়দপুরে পুনরায় ফিরে আসে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, ১০টি কোচবিশিষ্ট একটি র্যাক প্রস্তুত করা হয়েছে। সবুজ সংকেত পেলেই সৈয়দপুর থেকে এই র্যাকটি ঢাকায় পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে সৈয়দপুর থেকে এই র্যাকটি ঈশ্বরদী পর্যন্ত পরীক্ষামূলক রান সম্পন্ন করে সৈয়দপুরে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আমদানি করা কোচগুলো চীনের সিআরআরসি ট্যাকশন কোম্পানিতে তৈরি। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ওই কোচগুলো চলাচল করবে। এজন্য ১০০টি অত্যাধুনিক কোচ আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০টি কোচ ইতোমধ্যে দেশে এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়েছে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কোচগুলোত রাখা হয়েছে ল্যাপটপ ও মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা। আসনগুলো ফোল্ডিং করা যায়। রয়েছে ডিজিটাল মনিটর ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এর টয়লেটগুলোতে রয়েছে হাই ও লো কমোড ব্যবস্থা। প্রতিটি শোভন কোচে ৯২টি, এসি চেয়ার কোচে ও স্লিপার কোচে রয়েছে ৩৫টি করে আসন ব্যবস্থা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ সপের প্রধান ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম বলেন, চীন থেকে আমদানি করা কোচগুলোর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ওই ট্রেনে ভ্রমণ হবে আরামদায়ক। আগামী ৪ এপ্রিল পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে। এজন্য ১০টি কোচের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ কাজে রেল কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার পাশাপাশি চীনা বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। নির্দেশনা পেলে ১০ কোচের র্যাকটি সৈয়দপুর থেকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান বলেন, চীন থেকে আনা কোচগুলোর মধ্যে চার দফায় ৩০টি কোচ এ কারখানায় আনা হয়। আমরা সেই কোচগুলোকে নানাভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রস্তুত করেছি। ইতোমধ্যে এসব কোচের ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হয়েছে; যা রেলওয়ের এডিজি আরএস মনজুর উল আলম চৌধুরী, রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক জেডিজি ম্যাক তাবাসসুম বিনতে ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ফরিদ আহমেদসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোচগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।